জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার (২০ মে) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। এতে ডিএসইতে বেড়েছে মূল্যসূচক। সেইসঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। তবে সিএসইতে মূল্যসূচক ও লেনদেন উভয় কমেছে।
এর আগে অব্যাহত দরপতনের মধ্যে পড়ে সোমবার ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ২০২০ সালের ২৫ আগস্টের পর সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে যায়। এ পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতেই সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলে।
লেনদেনের শুরুতে দেখা দেওয়া এ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। দিনের লেনদেন শেষে সব খাত মিলে ডিএসইতে ২১১টি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে পেরেছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০৪টির। আর ৭৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১০৬টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে ৭০টির দাম কমেছে এবং ৩৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
মাঝারি মানের বা ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেওয়া ৬১টি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে ১৩টির দাম কমেছে এবং আটটির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়ার কারণে পচা ‘জেড’ গ্রুপে স্থান হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৪৩টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২১টির এবং ৩০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আর তালিকাভুক্ত ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ১০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১৩টির দাম কমেছে এবং ১৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
দাম বাড়ার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠান থাকায় দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৮ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৭৯৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৪৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৮ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৭৮০ পয়েন্টে উঠে এসেছে।
সবকটি মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। তবে লেনদেন তিনশ কোটি টাকার কম হয়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৯৭ কোটি ৭১ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ২৮৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।
এ লেনদেনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার। টাকার অঙ্কে কোম্পানিটির ৩০ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকার। ১২ কোটি ৩৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিচ হ্যাচারি।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ব্র্যাক ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ফু-ওয়াং ফুড, বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার, এনআরবি ব্যাংক এবং বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন।
অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৭ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৭৪ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৫টির এবং ৪০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১৬ কোটি ১১ লাখ টাকা।