মধুখালী প্রতিনিধি
কামারখালীতে প্রায় ১০ দিনের টানা বৃষ্টিপাতে কামারখালী ইউনিয়নের কামারখালী বাজার, মোল্যাপাড়া, হিন্দুপাড়া, বিশ্বাসপাড়া, কলেজপাড়া, বসতবাড়ী, রাস্তা ঘাট, খাল ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে এবং কারও কারও বাড়ি পানিতে থৈ থৈ করছে। এখন ভয়ঙ্কর জলাবদ্ধতার কবলে মানুষ দিনাতিপাত করছে। জানা যায়, পানি প্রবাহের জন্য আগে যে জায়গা ছিল, সেগুলো বাঁধ দিয়ে ভরাট করে রাখা হয়েছে। এতে করে ভারী বৃষ্টিপাত হলেই দেখা দেয় দীর্ঘ মেয়াদি জলাবদ্ধতা। সবচেয়ে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার কবলে মোল্যাপাড়া ও বিশ্বাসপাড়া এলাকা। এখানে প্রয়োজনীয় ড্রেনেজ ব্যবস্থা কিংবা পানি নিষ্কাশনের পথ একেবারে নগণ্য। কোন পথে নামবে পানি। কামারখালী বাজার কেন্দ্রীক ড্রেন থাকলেও বাজারে কোন ভালো ড্রেন ব্যবস্থা নাই আর গ্রামেতো কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। যদিও বিশ্বাসপাড়া আছে সেটা ভরাটের পথে অন্যদিকে এসব এলাকায় নিচু জমি, পুকুর ও জলাশয় প্রতিনিয়ত ভরাট হয়ে পড়েছে। যাতায়াতের পথ তৈরি করতে পানির নামার পথ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। পানি প্রবাহের পথ স্বাভাবিক না রেখে অপরিকল্পিত ভরাটের কারণে জলাবদ্ধতার কবলে পড়তে হচ্ছে বাসিন্দাদের। অন্যদিকে বাজার এলাকার বাহিরে থাকা যে সব খাল বা নালা রয়েছে সেগুলোও ভরাট হয়ে পড়েছে। অবৈধ দখলদার ও দূষণের কবলে পড়ে খালগুলো সংকুচিত হয়ে আছে। তবে জলাবদ্ধতার পেছনে স্থানীয়দের খাম খেয়ালীপনা ও অসচেতনতাকে দায়ী করা হচ্ছে। পানি প্রবাহের জন্য আগে যে জায়গা ছিল, সেগুলো বাঁধ দিয়ে ভরাট করে রাখা হয়েছে। এতে করে ভারী বৃষ্টিপাত হলেই দেখা দেয় দীর্ঘ মেয়াদি জলাবদ্ধতা। বাজার কেন্দ্রিক বর্জ্য ফেলে খালের বিভিন্ন স্থান ভরাট করা হয়েছে। দখলদারদের কবলে পরে দুপাশে গড়ে উঠছে বিভিন্ন স্থাপনা। এতে পানি নিষ্কাশনে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে একই অবস্থায় মছলন্দপুর মোল্যাপাড়া, হিন্দুপাড়া, বিশ্বাস পাড়া, মছলন্দপুর মধ্য পাড়া বাসিন্দারাও চরম ভোগান্তিতে পড়েন। মোল্যা পাড়া ও বিশ্বাসপাড়ার খালটিও দখলে-দূষণে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। অবৈধ দখলদারদের কবলে পড়ে খালটি এখন মরা খালি পরিণত হয়েছে। অবৈধ দখলদারদের কবলে পড়ে খ্লা ছোট হয়ে গেছে তাছাড়া খালের ওপর সরকারিভাবে যেসব ছোট ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে, সেগুলো একেবারে নিচু এবং কম দৈর্ঘ্যরে ফলে ব্রিজ-কালভার্টের নীচ দিয়ে পানি প্রবাহেও বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। মোল্যাপাড়া ও বিশ্বাস পাড়ার মতো জায়গায় এমন দুটি খাল হারিয়ে গেলে জনজীবন, কৃষি, স্বাস্থ্য সব কিছুই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হওয়ার কারনে কামারখালী বাজারের সড়ক ব্যবস্থাও দিন দিন খারাপ ও চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। দ্রুত খাল পুনঃখনন, দখল উচ্ছেদ এবং আবর্জনা ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নেয়া জরুরি। সচেতন নাগরিকদের মতে, খালটির দখল ও দূষণমুক্ত করতে দরকার সমন্বিত উদ্যোগ। প্রশাসন, ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষ, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় জনগণকে এক প্লাটফর্মে এনে প্রকল্প ভিত্তিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। মছলন্দপুর মোল্যা পাড়া এলাকায় কচুরিপানা অপসারণ করা দরকার। কারন জলাবদ্ধতার কারনও বটে কচুরিপানা ও ময়লা আর্বজনা। কারন খালের কচুরিপানার জট ও খালের মধ্যে থাকা বর্জ্য সঠিক ভাবে অপসারণ করা হয়নি। সচেতন নাগরিককের পক্ষে মাহাবুব হাসান টিটো মোল্যা বলেন ‘জলাবদ্ধতার পেছনে মূলত নাগরিক সচেতনতার অভাব দায়ী। নাগরিকরা যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলায় ড্রেনগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া অবাধে খাল দখল, অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ কারনেও পানি নিষ্কাশনে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। যাহা দ্রুত সংস্কার অতি জরুরী।
