এস, এম আতোয়ার টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে মেয়ে ও মেয়ের জামাতার বিরুদ্ধে মাদক বিক্রির ও প্রাণনাশসহ লাশ গুম করার হুমকি দেওয়ায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বাবা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মোকনা ইউনিয়নের ডাকাইত মারা গ্রামে। বৃহস্পতিবার সকালে পিতা মোহাম্মদ সালাম (৬০) বাদি হয়ে নাগরপুর থানায় এই অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলেন, একই গ্রামের মোহাম্মদ সালামের মেয়ে মোছা. ছালমা বেগম (৩০) ও তার স্বামী মো. জুয়েল ৪০। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ছালমা ও জুয়েল দীর্ঘদিন যাবত উপজেলার মোকনা ইউনিয়নের ডাকাইতমারা গ্রামসহ আশপাশের এলাকায় মাদক বিক্রি করে আসছেন। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই গ্রামের স্থানীয় সালাহউদ্দিনের চায়ের দোকানের সামনে সালমা ও জুয়েলকে মাদক বিক্রি করতে নিষেধ করেন বাবা সালাম। এতে স্বামী-স্ত্রী দুজনে ক্ষিপ্ত হয়ে বাবাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। একপর্যায়ে তাকে মারধর করতে উদ্যত হয়। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে সালামকে প্রাণনাশ ও লাশ গুম করার হুমকি দেয় তারা। এতে পিতা সালাম তার জীবনের নিরাপত্তা ও মাদক বিক্রি বন্ধ চেয়ে মেয়ে ও মেয়ের জামাতার বিরুদ্ধে নাগরপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। স্থানীয় বাসিন্দা আতাউর রহমান, মো. নূরে আলম ও আব্দুস সালাম বলেন, ছালমা ও তার স্বামী জুয়েল দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। তাদের অনেকবার নিষেধ করা হলেও তারা কারো কথা কর্ণপাত করে না। ফলে এলাকার যুবসমাজ দিন দিন মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। আমরা অবিলম্বে মাদক ব্যবসা বন্ধসহ তাদের গ্রেপ্তারের জোর দাবি জানাচ্ছি। অভিযোগ প্রসঙ্গে মোছা. ছালমা বলেন, আমার আগের স্বামী হিরোইন আসক্ত ছিল। স্বামীর কারণে আমাকে হিরোইন বিক্রি করতে হয়েছে। তাকে আমি তালাক দিয়ে বর্তমান স্বামী জুয়েলের সাথে মুদির দোকান করছি। আমি এখন আর এই মাদক বিক্রির সাথে যুক্ত নেই। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নাগরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাকিব জানান, সালমা ও তার স্বামী জুয়েল চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তাঁদের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বেও মৌখিক অনেক অভিযোগ পেয়েছি। যত দ্রুত সম্ভব তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।