ePaper

জামায়াত আমিরের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক। গতকাল সোমবার  সকালে রাজধানীর মগবাজারে দলীয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।সাক্ষাৎকালে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন, পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতি, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সংস্কার এবং দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।জামায়াতের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন- নায়েবে আমির সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ এবং সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার জানিয়েছেন, রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় অর্থনীতির দেশ। তবে টেকসই উন্নয়নের জন্য আরও কাজ করার সুযোগ রয়েছে। তিনি তৈরি পোশাক খাতের সম্ভাবনা ও শুল্ক সংক্রান্ত সমস্যাগুলো সমাধানে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

জামায়াতে ইসলামীর আমির বাংলাদেশের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে বলেন, আমরা যদি সৎ ও যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে সংস্কারের মধ্য দিয়ে আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক দেশ গঠনে যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, সেটা সম্ভব হলে একটা দুর্নীতিমুক্ত, টেকসই অর্থনীতির দিকে নিয়ে যেতে পারি। াগামী নির্বাচন, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সংস্কার সম্পর্কে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক জানতে চেয়েছেন। এসংক্রান্ত তথ্য ও দলীয় অবস্থান ব্যক্ত করে জামায়াত আমির বলেন, আমরা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে সংস্কার করে একটা ঐক্যমত্যে পৌছবার জন্য সরকারকে সহযোগিতা করে যাচ্ছি। জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি দল প্রতিদিন ঐক্যমত্য কমিশনের বৈঠকে যাচ্ছেন, নিরবিচ্ছিন্ন সময় দিচ্ছেন। আমরা আশা করি জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতেই সুষ্ঠু স্বচ্ছ একটি জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হবে। নির্বাচনের দিনক্ষণ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত। এ ব্যাপারে জামায়াত আমির বলেন, আগামী রমজানের আগেই জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তাব জামায়াতে ইসলামিই প্রথম দিয়েছে। বাংলাদেশের বেশির ভাগ ভোটারের প্রতিনিধিত্বকারী বেশিরভাগ দলই পিআর পদ্ধতিতে ভোটকে সমর্থন করেছেন।

কালো টাকা, পেশিশক্তির ব্যবহার ও মনোনয়ন বাণিজ্য থেকে রক্ষা করে একটা মানসম্পন্ন পার্লামেন্ট উপহার দিতে গেলে এবং প্রত্যেকটি ভোটারের ভোটাধিকারকে মূল্যায়ণ করতে হলে পিআর পদ্ধতির নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ।

এছাড়া উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য, শিল্প, অর্থনীতি, বিনিয়োগ নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *