মাকসুদ আলম (নোয়াখালী) সোনাইমুড়ী
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক নেতাদের হাতেই বিএনপির ভবিষ্যত নেতৃত্ব সবচেয়ে নিরাপদ মনে করছেন উপজেলা বিএনপি পরিবার, এর ধারাবাহিকতায় সারাদেশে বিএনপির সাংগঠনিক তৎপরতা দীর্ঘদিন থেকেই শুরু হয়েছে। সোনাইমুড়ীতে সাবেক ছাত্রদল নেতাদের মধ্যে যারা নতুন নতুন দায়িত্ব পেয়ে আলোচিত হচ্ছেন তাদের মধ্যে অন্যতম এডভোকেট মাহমুদ হাসান শাকিল। উপজেলা ছাত্রদলের এক সময়ের সোনালী ফসল এবং সাংগঠনিক প্রতিভায় অনন্য ভাস্বর এই নেতা বর্তমানে সোনাইমুড়ী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক এর দায়িত্ব পালন করছেন। গত স্বৈরাচারের ১৭ বছরের সকল গায়েবী মামলা হামলার যারা নির্যাতিত নিষ্পেষিত জেলে নিক্ষেপিত পরিবারগুলোর হয় সম্বল হিসাবে নিবেদিতা ছিলেন এই অ্যাডভোকেট মাহমুদল হাসান শাকিল, পোর করার একটি মামলাকে ৭/৮ ভাগে বিভক্ত করে বিএনপি পরিবারের সকলকেই বারবার উক্ত মামলাগুলোতে জড়িত করে নির্যাতন করে স্বৈরাচারীর দোসর সহ তারা, সেই ভুক্তভোগী আসামিদেরকে জেল থেকে জাবিনের ব্যবস্থা করে প্রতি তারিখে হাজিরার সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। জানা যায়, নবম শ্রেণীতে থাকাকালীন ১৯৮৩ সালে জিয়াউর রহমানের রাজনীতির দর্শন বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ ও উৎপাদনমূখী শিক্ষা ব্যবস্থার লক্ষ্য নিয়ে তিনি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সদস্য পদ গ্রহণ করেন। এসময় তিনি ছাত্রদলকে সংগঠিত করতে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। সোনাইমুড়ী উপজেলাসহ নোয়াখালী জেলা ব্যাপী তিনি সাংগঠনিক কর্মতৎপরতা শুরু করেন। একজন ছাত্রনেতা হিসেবে তিনি এই সময় সর্বমহলে সমাদৃত হন। দলে স্বীকৃতি স্বরূপ ৯০ দশকে তিনি নোয়াখালী জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পান। একজন দক্ষ এবং তুখোড় বক্তা হিসেবেও এডভোকেট মাহমুদ হাসান শাকিল সুখ্যাতি অর্জন করেন। সৃজনশীল রাজনীতির মাধ্যমে তিনি দলকে কাঙ্খিত পর্যায়ে পৌঁছে দিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন আসছেন, ছাত্রদলকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে তুলে ধরতে তিনি সৃষ্টিশীল নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেন। খুব অল্পসময়ে এডভোকেট মাহমুদ হাসান শাকিল দায়িত্বশীল এবং জনপ্রিয় নেতা হিসেবে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেন। দলের প্রতি আনুগত্য এবং আস্থাবান নেতা হিসেবে বিভিন্ন সময়ে তিনি দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। সোনাইমুড়ী উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি নোয়াখালী জেলা বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এডভোকেট মাহমুদ হাসান শাকিল রাষ্ট্র বিজ্ঞানে মাষ্টার্স করেছেন। এলএলবি, ডিপ্লোমা ইন হিউম্যান রাইটস সম্পন্ন করেন তিনি। কর্মজীবনে একজন আইনজীবি হিসেবে তিনি সাফল্য অর্জন করেন। ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে তিনি নানা ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি হন। এডভোকেট মাহমুদ হাসান শাকিল এর বিরুদ্ধে ৫টি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা মোকাবেলায়ও তিনি সাহসী ভূমিকা পালন করেন। দীর্ঘ এই সংগ্রামে তিনি কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে আইনী সহায়তা প্রদান করেন। একজন দক্ষ এবং বিশ্বস্ত আইনজীবি হিসেবে নোয়াখালী জেলা দায়রা জজ আদালতে তিনি অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিউকিউটর (এডিশনাল পি.পি.) হিসেবে বর্তমানে কর্মরত আছেন। নোয়াখালী জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরামের সহ সভাপতি, নোয়াখালী জেলা শহীদ জিয়া স্মৃতি পাঠাগার এর যুগ্ম-সম্পাদক এর দায়িত্বে আছেন তিনি। নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্যানেল আইনজীবি হিসেবে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। এডভোকেট মাহমুদ হাসান শাকিল তার কর্মমুখর জীবনের নানা বাঁকে সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে চলছেন। রাজনীতিতে তিনি যেমন কর্মীদের কাছে একজন প্রিয় নেতা ঠিক তেমনী কর্মজীবনেও তিনি সকলের আস্থভাজন। বিভিন্ন সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে তার নীরব পদচারণা রয়েছে। সামাজিক অবক্ষয় রোধ, মানবতার পক্ষে তিনি সবসময় বলিষ্ট কন্ঠে ভূমিকা পালন করছেন। শিক্ষামূলক নানা সেমিনার সিম্পোজিয়ামে তিনি যোগ দিচ্ছেন এবং জ্ঞাননির্ভর বক্তব্য দিয়ে মানুষকে সচেতন করতে সচেষ্ট রয়েছেন। একই সাথে তিনি সোনাপুর আলী আকবর উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতির দায়িত্ব্ পালন করছেন। এছাড়া সোনাইমুড়ী হামেদিয়া আলিয়া মাদ্রাসার গর্ভনিং বডির বিদ্যুৎ শাহী সদস্য (ভাইস চ্যান্সেলর প্রতিনিধি সদস্য) ও বারাহিপুর ফোরকানিয়া মাদ্রাসার সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে আছেন। ফ্যাসিবাদ পতনের পর একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠনে তিনি সাম্প্রতি সময়েও ভিন্নধারার ও জাগরণমূখী বিভিন্ন সভায় অংশ নিয়ে জনসচেতনা সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখছেন। জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে তারুণ্যের রাষ্ট্রভাবনা, রাজনীতি, নেতৃত্ব, ব্যক্তিত্ব ও সংগ্রাম শীর্ষক বৈঠকে তিনি আলোচক হিসেবে প্রানবন্ত বক্তব্য রাখেন। গণিত উৎসবসহ শিক্ষা সাংস্কৃতির বিভিন্ন শাখায় তার সাবলিল উপস্থিতি রয়েছে। এ বিষয়ে কথা হলে এডভোকেট মাহমুদুল হাসান শাকিল জানান, ছাত্ররাজনীতির শুরু থেকেই একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখা শুরু করি। সৃজনশীল এবং জনকল্যাণমূখী রাজনীতি ছাড়া সত্যিকার অর্থে দেশের উন্নয়ন এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। আধুনিক এই সময়ে তরুণদের চিন্তাকে প্রাধান্য দিয়ে আগামীর বাংলাদেশ সাজাতে হবে। একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের যে অভিযাত্রা শুরু হয়েছে তার বাস্তবায়নে অতিতের মতো সংগ্রাম করে যাবো ইনশাআল্লাহ।
