ePaper

জলঢাকায় ভাড়াটিয়া হয়ে কৌশলে দোকানঘর জবরদখলের অভিযোগ

মনিরুজ্জামান মিলন পাটোয়ারী, জলঢাকা

নীলফামারীর জলঢাকায় ভাড়াটিয়া কৌশলে দোকানঘরের পজিশন জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। অপরদিকে অভিযুক্ত ভাড়াটিয়া পাল্টা অভিযোগ তুলে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৫ অক্টোবর (বুধবার) বিকেলে জলঢাকা উপজেলার কাঠাঁলী ইউনিয়নের বিন্যাবাড়ি বাজারে। জমি ও দোকানঘরের মালিক নূর ইসলাম (৫২) গণমাধ্যমকে জানান, ১৯৯৭ সালের ২৩ জুলাই উত্তর দেশিবাই মৌজার খতিয়ান নং ১০৩৯ ও ২৩৮০ দাগে মোট ৩০ শতক জমির মধ্যে ২ শতক তিনি জামাল উদ্দীনের কন্যা মেরিনা বেগমের কাছ থেকে ক্রয় করেন। পরবর্তীতে একই দাগে রশিদুল ইসলামের নিকট থেকে ৩ শতক জমি ক্রয় করেন ২০০০ সালের ৭ জুন। একই বছরের ২৯ মার্চ এমদাদুল হকের মেয়ে ও স্ত্রীর কাছ থেকে আরও ৩ শতক এবং জমির মূল মালিকের কাছ থেকে ১ শতক জমি ক্রয় করে তিনি মোট ৯ শতক জমির মালিক হন। পরবর্তীতে ওই জায়গায় দোকানঘর নির্মাণ করে নূর ইসলাম তাঁর ভায়রা ভাই জুয়েল চৌধুরীকে ২০০০ সালের ২৯ এপ্রিল শর্তসাপেক্ষে ভাড়া দেন। তখন থেকেই জুয়েল চৌধুরী ভাড়াটিয়া হিসেবে সেখানে ব্যবসা চালিয়ে আসছেন এবং নিয়মিত ভাড়া পরিশোধ করতেন। নূর ইসলাম বলেন, সম্প্রতি জেলা বিজ্ঞ অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের একটি মামলার নোটিশ পাই, যেখানে জানতে পারি আমার ভায়েরা ভাইয়ের ছোট ভাই জামান চৌধুরী ওরফে জারমান আমার দোকানঘরের পজিশন নিজের দাবি করে ১৪৪/১৪৫ ধারায় মামলা করেছেন (মামলা নং ৫৬১/২৫, স্বারক নং ১৭৯৯(২)। এরপর নুর ইসলাম আর বলেন আমার ভায়েরা ভাই জুয়েল চৌধুরীকে ডেকে দোকান খালি করতে বলি এবং দোকানঘরটির যা মালা মাল ছিল সব বাইর করে নিয়ে যেতে বলি জুয়েলের ছোট ভাই জামান চৌধুরী ওরফে জারমানকে। পরে সে সবার সামনে দোকানের মালামাল বাহির করে নিয়ে যায়। বর্তমান নূর ইসলামের দখলে দোকান ঘরটি। তিনি আরও অভিযোগ করেন, জারমান আলী চৌধুরী ইসলাম উদ্দীনের ছেলে আব্দুর রউফ ও জামাল উদ্দীনের ছেলে ছাইদুল, সাইফুল, হামিদুলের কাছ থেকে বিএস ১০৩৯ ও ২৩৮০ দাগে ২ শতক জমি ক্রয় করেছেন, তবে ওই জমি আমার জমির পেছনে অবস্থিত। এখন কৌশলে ও অন্যের প্ররোচনায় আমার দোকানঘর দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত জারমান আলী চৌধুরী মুঠোফোনে জানান, আমি প্রায় ৩০ বছর ধরে ওই জায়গায় ব্যবসা করে আসছি। দোকানঘরের জমি আমার এবং সব কাগজপত্র আমার কাছেই আছে। বরং নূর ইসলাম গং জোরপূর্বক আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করে নিয়েছেন। স্থানীয়দের দাবি, বিষয়টি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন থাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে, যা বাজারের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ব্যাহত করছে। এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত মালিকানা নির্ধারণ করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হোক, যাতে বাজারে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *