জবি প্রতিনিধি,
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রীয় মসজিদে প্রতিনিয়ত ঘটছে জুতা চুরির ঘটনা। মুসল্লিরা জুতা হারানোর ভয়ে মসজিদের ভেতরে রেখে আসলেও, সেখান থেকেও নিরাপদ থাকছে না। এক শিক্ষার্থী জানান, “প্রায় প্রতিদিনই কারও না কারও জুতা হারিয়ে যাচ্ছে। একটু দামি বা নতুন জুতা মসজিদে আনলেই চোরের নজরে পড়ে।” সম্প্রতি ২৪ ফেব্রুয়ারি জোহরের নামাজের পর একসঙ্গে তিন জোড়া নতুন জুতা চুরি হয়। জানা যায়, চুরি যাওয়া জুতাগুলো সবই এক মাসের মধ্যে কেনা হয়েছিল। ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীরা তখনই মসজিদে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের দাবিতে প্রক্টর মোহাম্মদ তজাম্মল হকের সঙ্গে দেখা করেন। তবে, প্রক্টর শিক্ষার্থীদের জানান, “এটি আমার দেখভালের দায়িত্ব নয়, এমনকি আমার নিজের জুতাও চুরি হয়ে গেছে। ভাইস চ্যান্সেলর ইতোমধ্যে আইটি বিভাগকে সিসি ক্যামেরা বসানোর নির্দেশ দিয়েছেন।” এসময় এক শিক্ষার্থী প্রশ্ন করেন, “স্যার, ক্যামেরা বসতে বসতে তো আমাদের বাকি জুতাগুলোও চুরি হয়ে যাবে! “এর জবাবে প্রক্টর বলেন, “কিছুদিন আগে এক চোর ধরা পড়েছিল, যার নাম ওমর ফারুক এবং দাঁড়ি ছিল। তাকে ধরার পর কিছুদিন চুরি বন্ধ থাকলেও এখন আবার শুরু হয়েছে।”চুরি হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে রসায়ন বিভাগের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তানভীর সিয়াম বলেন, “আমরা মসজিদে নামাজ পড়তে যাই, কিন্তু প্রতিবার জুতা হারিয়ে হয়রানির শিকার হই। প্রক্টর স্যারের কাছে গিয়েও কোনো সমাধান পাইনি, উনি বরং দায় এড়িয়ে যান। আমরা ভেবেছিলাম, তিনি অন্তত কোনো ব্যবস্থা নেবেন।”আরেক ভুক্তভোগী, একই ব্যাচের মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, “জুতা হারিয়ে খালি পায়ে হেঁটে নতুন জুতা কিনতে যেতে হয়েছে, যা খুবই বিব্রতকর। এর আগে একটি ঘটনার বিচার চাইতে গেলে উনি আমাদের নীতিমালা পড়তে দিয়েছিলেন, এবার ক্যামেরার দাবি জানালে বললেন, এটা তার কাজ নয়! “সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীরা দ্রুত মসজিদে সিসি ক্যামেরা স্থাপন এবং চোরকে শনাক্ত করে যথাযথ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তাদের মতে, প্রশাসন যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে এই সমস্যার সমাধান হবে না এবং শিক্ষার্থীরা আরও বেশি অসুবিধার সম্মুখীন হবে।