চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.২ ডিগ্রি
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
আবহাওয়ার প্রবেশদ্বার খ্যাত চুয়াডাঙ্গায় শুরু হয়েছে শীতের প্রকোপ। উত্তর থেকে বয়ে আসা কনকনে ঠান্ডা বাতাস শীতের তীব্রতা আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। কনকনে ঠান্ডায় জনজীবনে বিপর্যস্ত নেমে এসেছে। তীব্র শীতের কারণে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। দিনমজুরদের জন্য স্বাভাবিক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে, ফলে তাদের আয়ের উৎসও হুমকির মুখে পড়ছে। শীত থেকে কিছুটা উষ্ণতা পেতে খড়কুটো জ্বালিয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন অনেকে, আবার কেউ কেউ পুরাতন কাপড়ের দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন। তবে এসব প্রচেষ্টা শীতের তীব্রতা থেকে তাদের রক্ষা করতে পর্যাপ্ত নয়, আর এর ফলে তারা চরম কষ্টে পড়েছেন। এদিকে, শীতের তীব্রতা যত বাড়ছে শীতজনিত রোগ বৃদ্ধি পচ্ছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগ আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। শীতজনিত ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এর থেকে প্রতিকার পেতে পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তিদের দ্রুত নিকটস্থ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে অথবা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার জন্য জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত জামিনুর রহমান জানিয়েছেন, গেল দু’দিন আকাশ মেঘলা থাকায় তেমন শীত অনুভুত হয়নি। বুধবার দুপুর থেকে মেঘলা ভাব কেটে যাওয়ায় আকাশ পরিস্কার হতে শুরু করেছে। সেই সাথে শীতের তীব্রতা অনেক বৃদ্ধি পচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বোনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যা চলতি মৌসুমে চুয়াডাঙ্গার সর্বোনিম্ন। এরআগে সকাল ৬টায় একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। তাপমাত্রার পাড়দ আরও নীচের দিকে নামবে। তিনি আরও বলেন, শীতের প্রকোপে নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগ কমাতে মানবিক সহায়তা ও শীতবস্ত্র বিতরণের জন্য প্রশাসন ও সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার প্রয়োজনীয়তা অনেকাংশে বেড়ে গেছে। শীতের এই সময়ে, বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যাতে তারা শীতের কবল থেকে রক্ষা পায়।