চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গায় আবারও শুরু হয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এতে উত্তরের কনকনে হিমেল হাওয়া ও তীব্র শীতে জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। গতকাল বৃহস্পতিবার এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী ৩-৪ দিন শৈত্যপ্রবাহ অব্যহত থাকতে পারে। চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, সবশেষে গত ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি ৩-৪ দিন যাবত একটি শৈত্যপ্রবাহ এ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে গিয়েছিল। এরপর সাগরে নিম্নচাপের কারণে শীত কিছুটা কমে তাপমাত্রা হ্রাস পেতে থাকে। এরপর ডিসেম্বর মাসের বাকি দিনগুলোতে তেমন ছিল না শীতের দাপট। তবে ইংরেজি বছরের শুরুতে আবার বাড়তে থাকে শীতের তীব্রতা। গত বুধবার এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে, হঠাৎ শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ভোগান্তি বেড়েছে এ অঞ্চলের মানুষের। কষ্টে আছেন নিম্ন আয়ের সব পেশাজীবী মানুষ। খুব সকালে শীতের তীব্রতায় কাজ পাচ্ছেন না শ্রমিক শ্রেণি। চুয়াডাঙ্গা শহরের একটি হোটেলের কর্মচারী কাজল চক্রবর্তী বলেন, ‘ভোরে কাজে আসতে হয়। এই শীতে খুব কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু কাজ তো করে খেতে হবে, তাই কিছুই করার নেই।’ পাখি ভ্যান চালক আমজাদ হোসেন বলেন, ‘এই যে আবার তীব্র শীত পড়া শুরু করছে। এবার আবার কাজ কম হবে। ভাড়া হবে না, শীতে বাপু লোকজন বের হয় না।’ চা দোকানী মিন্টু মিয়া বলেন, ‘যত শীত, তত কষ্ট। কষ্ট সব আমাদের। গরিব মানুষের শীত গরম কি। কাজ তো করা লাগবে।’ বেসরকারি এনজিও কর্মী সোনালিকা বিশ্বাস বলেন, ‘খুব সকালে উঠে মার্চ পর্যায়ে গিয়ে কাজ করতে হয়। শীতে এটা তো কষ্টের হবেই।’ চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল নয়টায় এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আজ দেশের সর্বনিন্ম তাপমাত্রা।’ তিনি আরও জানান, ‘উত্তরের দিক থেকে ঝিরঝির করে হিমেল হাওয়া বয়ে যাওয়ায় বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। চলমান শৈত্যপ্রবাহ আগামী ৩-৪ দিন স্থায়ী হতে পারে।’