মাকসুদ আলম, সোনাইমুড়ী নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রুহুল আমিন ৮২ বছরের বৃদ্ধকে আছাড় মারিয়া বৃদ্ধার ডান পায়ের উপরের হাড় ভেঙে ফেলছে বলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলো অত্র ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের শাহ আলম ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ীর ইমাম হোসেনের ছেলে মো. হিমেল(২২), মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে ইমাম হোসেন (৪৮)। ভুক্তভোগী নোয়াপাড়া গ্রামের মান্নান কেরানীর বাড়ীর মৃত হেদায়েত উল্লাহর বড়ো ছেলে রুহুল আমিন (৮২)। শনিবার সকালে সরজমিনে গিয়ে জানতে পারি, গত বুধবার দুপুরে পাশ্ববর্তী বাড়ীর হিমেল এ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রুহুল আমিন কে পুকুরের পানিতে ঢেলে ফেলে দেয় এবং পুকুর থেকে উঠে আসলে কোলে তুলে উঠিয়ে ২টা আছাড় মেরে বৃদ্ধার ডান পায়ের হাঁটুর উপরের হাড় ভেঙে ফেলছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, বিবাদীদ্বয় একই গ্রামের পাড়া প্রতিবেশী। অভিযুক্তদের সাথে ক্রয়কৃত মালিকীয় ভোগদখলীয় সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধী চলিয়া আসিতেছে। গত ২১ মে বুধবার দুপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করিয়া অভিযুক্ত হিমেল অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে করিতে আসিয়া রুহুল আমিন কে ধাক্কা দিয়ে পুকুরের পানিতে ফেলিয়া দেয়, বৃদ্ধ রুহুল আমিন পুকুর থেকে উঠে দাঁড়ালে অভিযুক্ত হিমেল রুহুল আমিন কে কোলে তুলিয়া ২টা আছাড় মেরে বৃদ্ধর ডান পায়ের হাঁটুর উপরের হাড় ভেঙে ফেলছে। ভুক্তভোগী রুহুল আমিন এর ছোট ভাই নূরুল আমিন বলেন ইমাম ও হিমেল বাপ বেটা অত্যাচারী জুলুম নির্যাতন কারী। তারা বাপবেটা মিলে আমার ভাই ৮২ বছরের বৃদ্ধ রুহুল আমিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে আছাড় মেরে তার ডান পায়ের হাঁটুর উপরের হাড় ভেঙে ফেলছে। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট সন্ত্রাসী হিমেল ও ইমাম হোসেন এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরী অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি আরো বলেন তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।