নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার পাহাড়িকা হাউজিং সোসাইটির এক বাসা থেকে ফাতেমা বেগম (৩২) নামের এক নারীর ১১ টুকরো করা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার মধ্যরাতে আর কে টাওয়ার নামের একটি ভবনের দশম তলা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহতের স্বামী মো. সুমন পেশায় একজন গাড়ি চালক। ঘটনার পর থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশের ধারণা, স্ত্রীকে খুন করে পালিয়ে গেছেন স্বামী। পুলিশ সূত্র জানায়, ফাতেমাকে খুনে ছুরি ও চাপাতি ব্যবহার করা হয়েছে। শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে টুকরা টুকরা করা হয়েছে। হাড় থেকে মাংস কেটে ফেলা হয়েছে। ১১টি টুকরা করে ঘরের মেঝেতে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে খুনি। নিহতের প্রতিবেশীদের বরাতে বায়েজিদ বোস্তামী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী মোহাম্মদ মাহফুজ হাসান সিদ্দিকী বলেন, ১০ বছর আগে ফাতেমার সঙ্গে সুমনের বিয়ে হয়েছিল। তাদের আট বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। ঘটনার সময় সে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। তিনি বলেন, ‘স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া চলছিল। এরই জের ধরে বুধবার রাতে তাকে খুন করা হতে পারে। তার পুরো শরীর ক্ষতবিক্ষত করার পর কেটে ১১ টুকরা করা হয়। তাকে হত্যার পর প্রতিবেশীরা নিহতের স্বামীকে পালিয়ে যেতে দেখেছে।’ থানার পরিদর্শক আরো বলেন, ‘ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার পলাতক স্বামীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে। তাকে গ্রেপ্তারের পর হত্যার সঠিক কারণ জানা যাবে।’