ePaper

চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় চাঞ্চল্যকর হত্যার ঘটনায় ২ জন গ্রেফতার

আমিনুল হক শাহীন, চট্টগ্রাম

পতেঙ্গায় চাঞ্চল্যকর দেবর কর্তৃক ভাবী খুনের ঘটনায় জড়িত ২জন গ্রেফতার করেছে পতেঙ্গা থানা পুলিশ। মামলার বিবরণে জানা যায়, ফেরদৌসি আক্তার (৩২) চট্টগ্রামে গার্মেন্টসে চাকুরী করত। ভিকটিম তার স্বামী ও সন্তান সহ ধুমপাড়া, চড়িহালদার মোড়, হামিদ মাঝির বাড়ী, আবু বক্করের ঘর, ৪০নং ওয়ার্ডে বসবাস করতেন। ফেরদৌসির সাথে বিগত ২০১৩ খ্রি. সালে আসামী মো. লোকমান হোসেন (৪৫) এর ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ হয়। এই বিয়ে আসামীর মো. লোকমান হোসেন এর পরিবারের লোকজন স্বাভাবিকভাবে মেনে নেয় নাই। বিবাহের পর হতে ফেরদৌসি তার স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ীর লোকজন নানাভাবে হয়রানী করে আসছিল। ফেরদৌসির দাম্পত্য জীবনে জান্নাতুল মাওয়া উর্মি (০৮) নামে মেয়ে এবং মো. আশফাকুল ইসলাম (০৩) নামে এক ছেলে রয়েছে। ঘটনার এক সপ্তাহ আগে ফেরদৌসি তার স্বামীকে রান্নাঘর মেরামত করার জন্য অনুরোধ করলে ফেরদৌসির স্বামী ফেরদৌসিকে মারধর করে। গত ১৩/০৭/২০২৫ইং তারিখ রাত অনুমান ১১.০০ ঘটিকার দিকে ফেরদৌসির দেবর মামলার এজাহারনামীয় আসামী মো. রনি (২৮) ও ফেরদৌসির স্বামী মো. লোকমান হোসেন (৪৫) রান্নাঘর মেরামতের বিষয় নিয়ে ফেরদৌসির কে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে ফেরদৌসির সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে মামলার এজাহারনামীয় আসামীরা পরস্পর যোগসাজশে ফেরদৌসিকে হত্যার উদ্দেশ্যে উপর্যুপরি আঘাত করতে থাকে। এজাহারনামীয় ১নং আসামী মো. রনি (২৬) তার হাতে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে ফেরদৌসিকে হত্যার উদ্দেশ্যে ফেরদৌসির বুকে, পিঠে উপর্যুপরিআঘাত করে। আসামীদের মারধরে ফেরদৌসি আক্তার (৩২) এর মৃত্যু নিশ্চিত করে আসামীরা দ্রুত ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। উক্ত ঘটনায় ফেরদৌসি এর ভাই মো. মামুন খান (৩৬) বাদী হয়ে এজাহার দিলে পতেঙ্গা মডেল থানার মামলা নং-১২, তারিখ-১৪/০৭/২০২৫ইং ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু করা হয়। মামলা রুজুর পর থেকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই এইচএম হারুনুজ্জামান রোমেল সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ একটানা অভিযান করে ইং ২০/০৭/২০২৫ তারিখ চট্টগ্রাম পতেঙ্গা থানাধীন চড়িহালদা মোড় হতে মামলার ঘটনার সাথে জড়িত ঘটনার মূল হোতা এজাহারনামীয় ১নং আসামী মো. রনি (২৮) ও ৩নং আসামী সোলাইমান (৪৮)’দ্বয়কে গ্রেফতার করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *