গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের নয়াপাড়া সরকার বাড়ী গ্রামে একটি পুকুর দখলের চেষ্টা ও প্রায় ৮ লক্ষ টাকার মাছ লুটতরাজের অভিযোগ উঠেছে। গত রোববার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে উম্মে কুলছুম বাদী হয়ে ১০ জন নামীয় এবং ৫০-৬০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উম্মে কুলছুম উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের নয়াপাড়া সরকার বাড়ি গ্রামের রবিউল হাসানের স্ত্রী। তার শ্বশুর ফখরুল ইসলামের পৈত্রিক পুকুরে দীর্ঘদিন ধরে মাছ চাষ করে।
একই গ্রামের আমিনুর রশিদ (৬৩), আতাউর রহমান, মমিন মিয়া, আবু বক্কর, জাকিরুল ইসলাম, রেজাউল, রেজ্জাক, রানু মিয়া, তুহিন, সিয়াম মিয়াসহ তার সহযোগীরা পুকুরটির মালিকানা দাবি করে এবং মাছ ধরার হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে রবিবার সকাল ১০টার দিকে আমিনুর রশিদসহ উল্লেখিত ১০ জন নামীয় ব্যক্তি এবং অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জন ভাড়াটিয়া লোক লাঠি, লোহার রড, ধারালো ছোরা, হাসুয়া, খেওয়াজাল ও বেড়জাল নিয়ে পুকুরটিতে প্রবেশ করে। বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে অভিযুক্তরা পুকুরে গ্যাস ট্যাবলেট ছিটিয়ে হৈ-চিল্লা ও শোরগোল শুরু করে। এরপর তারা খেওয়াজাল ও বেড়জাল ব্যবহার করে পুকুর থেকে প্রায় ১০০ মণ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, যার মধ্যে রুই, কাতলা, মৃগেল, সিলভার কার্ফ, মিরর কার্ফ, টেংরা, মাগুর, গড়াই ইত্যাদি মাছ ছিল, লুট করে নিয়ে যায়। ভুক্তভোগী উম্মে কুলছুম তার স্বামী রবিউল হাসান এবং শাশুড়ী রোকেয়া বেগম বাধা দিতে গেলে অভিযুক্তরা লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর আক্রমণ করার চেষ্টা করে এবং ধাওয়া করে। প্রাণের ভয়ে তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন এবং এই সুযোগে অভিযুক্তরা পুকুর থেকে মাছ লুট করে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভাপরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়েছি এবং প্রয়োজনীয় তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
