গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি এবং চাঁদা না দেওয়ায় জমি জবরদখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গোবিন্দগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নে রামপুর এলাকার নকিম উদ্দিন এর ভুক্তভোগী স্ত্রী আছমা বেগম। অভিযুক্ত ব্যাক্তিরা হলেন, সাপমারা ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের মৃত কলিম উদ্দিন এর ছেলে কয়সার আলী, আফছার আলী, জামির উদ্দিন, জুয়েল মিয়া, রুবেল মিয়া, মিন্টু মিয়াসহ ১০/১২ জন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আছমা বেগম ও তার তিন বোনের পৈত্রিক সম্পত্তি যা চার বোনের নামে মাঠ পরচা পস্তুত আছে। তফসিল বর্ণিত জমি কয়সার আলী ও আফছার আলী আছমা বেগম এর বাবা মায়ের কাছে দলিল মূলে হস্তান্তর করে। তারপর থেকেই জমিতে চাষাবাদ করে আসতেছে। কিছু দিন যাবত জমির মিথ্যা মালিকানা দাবী করে বিভিন্ন সময় অভিযুক্ত ব্যাক্তিরা ২ লক্ষাধিক টাকা চাদা দাবী করে। চাদা দিতে অস্বীকার করলে তফসিল বর্ণিত জমি জবরদখলের পায়তারা করতে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় জমিতে ধানের চারা রোপনের করার জন্য গেলে গত (২৮ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অভিযুক্ত ব্যাক্তিরা পরস্পর যোগসাজসে ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের সহায়তায় দা, ছুরি, লোহার রড, হকিস্টিক, বাঁশের লাঠি ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রামপুর মৌজাস্থ সাবেক ৯১৬, ৯১৭, হাল-১১৮৩ দাগের ৩২ শতক জমিতে অনধিকার ভাবে প্রবেশ করে কাদা করা জমিতে বেদখল ভাবে ধানের চারা রোপন করে। এ ঘটনায় আছমা বেগম ও তার ৩বোন বাধা দিতে গেলে মারধরের চেষ্টা ও খুনজখমের হুমকি দেওয়া হয় এবং ভুক্তভোগী নারীর কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আছমা বেগম এর ভাগ্নে সাপমার ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আজহারুল ইসলাম প্রধান বলেন, কয়সার আলী, আফছার আলী, জামির উদ্দিন, জুয়েল মিয়া, রুবেল মিয়া, মিন্টু মিয়াসহ এরা সবাই ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের দোসর ও ভূমিদস্যু এদের কাজই অসহায় ও গরীব মানুষদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে জমি দখল করা। বিগত সময়ে অবৈধ আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকতে এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে আমার খালার আবাদী জমি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে এরা। এখন আবার ৫ আগস্টের পরে বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে অবৈধ ভাবে আমার খালার আবাদী জমি নিজেদের দাবী করে জবরদখলে নেওয়ার চেষ্টা করতেছে। এবং বিএনপি দলের লোকদের সাথে উঠাবসা করতেছে। এবিষয়ে সাপমারা ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক ও যুগ্ম-আহবায়কের মাধ্যমে উপজেলা ও জেলা বিএনপির সভাপতি/সাধাধন সম্পাদক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ ওসি বুলবুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
