আন্তর্জাতিক ডেস্ক
গত বছর আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছিল দখলদার ইসরায়েলের কাছে আর তেল বিক্রি করা হবে না। তবে প্রকাশ্যে এমন ঘোষণা দিয়ে গোপনে দখলদারদের কাছে তেল বেচছে মুসলিম প্রধান দেশ আজারবাইজান।ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ সোমবার (৯ জুন) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইসরায়েলকে আজারবাইজান কথা দিয়েছে তারা তেল সরবরাহ অব্যাহত রাখবে।মূলত তুরস্কের চাপে পড়ে গত বছর ইসরায়েলের কাছে তেল বিক্রি না করার ঘোষণা দেয় আজারবাইজান। এরপর তারা তাদের কাস্টম রেকর্ড থেকেও ইসরায়েলে তেল বিক্রির সব তথ্য মুছে ফেলে। এই রেকর্ড অনুযায়ী, গত বছরের অক্টোবরে ইসরায়েলে শেষবারের মতো তেল বিক্রি করেছে। কিন্তু বাস্তবে তা বন্ধ হয়নি।
কাস্টমসে কোনো রেকর্ড নেই মূলত তৃতীয় দেশের হয়ে দখলদারদের কাছে যাচ্ছে আজারবাইজানের তেল।ইসরায়েলি একটি সূত্র হারেৎজকে বলেছেন, “আমরা আজাইবাইজানিদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি পেয়েছি যে, জ্বালানিখাত অন্যান্য দিকে আমাদের কৌশলগত সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে। আর আমাদের চিন্তার কোনো কারণ নেই।”হারেৎজ জানিয়েছে, আজারবাইজানের তেল ইসরায়েলে যায় তুরস্কের মধ্য দিয়ে যাওয়া পাইপলাইনের মাধ্যমে। এ কারণে তুরস্ক আজারবাইজানকে চাপ দেয় তারা যেন ইসরায়েলে আর তেল সরবরাহ না করে। ওই চাপে পড়ে প্রকাশ্যে তারা ঘোষণা দেয় ইসরায়েলকে তেল দেবে না। কিন্তু গোপনে তেল সরবরাহ করে যাচ্ছে।
গত বছরের মে মাসে দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করে তুরস্ক। গাজায় ইসরায়েলিদের বর্বরতা এবং তুরস্ককে আকাশপথে ত্রাণ দিতে না দেওয়ায় প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এমন সিদ্ধান্ত নেন।তুরস্কের বিরোধী দলগুলো অভিযোগ তুলেছে, প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এখনো তাদের দেশের ভেতর যাওয়া পাইপলাইনের মাধ্যমে আজারবাইজানের তেল ইসরায়েলে যেতে দিচ্ছেন।ইস্তাম্বুলে আজারবাইজানের রাষ্ট্রায়াত্ত্ব তেল কোম্পানির অফিসের সামনে বিক্ষোভও করেছেন সাধারণ মানুষ। তবে আজারবাইজান ইসরায়েলে তেল সরবরাহ না করলে ইসরায়েল অন্য কোনো জায়গা থেকে তেল আনবে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। দখলদাররা গত বছর যত তেল আমদানি করেছে তার ৩০ শতাংশই ছিল আজারবাইজানের।