স্পোর্টস ডেস্ক
আইপিএলের অষ্টাদশ আসরে বিপর্যস্ত শুরুর পর ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প লেখা মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ফাইনাল থেকে আর স্রেফ একটি ম্যাচ দূরে। অন্যদিকে, লিগপর্বের সবশেষ দুই ম্যাচে হারের পর এলিমিনেটর ম্যাচেও একই তিক্ত স্বাদ পেয়েছে আসরজুড়ে দারুণ ধারাবাহিক গুজরাট টাইটান্স। এলিমিনেটর ম্যাচে মুম্বাইয়ের কাছে ২০ রানে হেরে ২০২৩ আসরের চ্যাম্পিয়নরা এই আইপিএল থেকে ছিটকে গেছে।
গতকাল (শুক্রবার) রাতে নিউ চণ্ডিগড়ের মুল্লানপুর আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দুই ওপেনারের ব্যাটে শুরু থেকেই ঝড় তোলে মুম্বাই। তাতে কিছুটা এগিয়েই ছিলেন রোহিত শর্মা। মুম্বাইয়ের সাবেক এই অধিনায়ক বড় ম্যাচটিকে আসরের সেরা ইনিংস খেলার জন্য বেছে নিয়েছেন। তার ৮১ রানে ভর করে মুম্বাই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২২৮ রান তোলে। সেই লক্ষ্য তাড়ায় গুজরাটকে প্রায় একা টেনেছেন সাই সুদর্শন। তবে তার দলের দৌড় থেমেছে ২০৮ রানে। আগে ব্যাট করতে নেমে মুম্বাইয়ের তারকা রোহিত এদিন একাধিকবার জীবন পেয়েছেন। এরপরই তুলে নেন দাপুটে হাফসেঞ্চুরি। অন্যদিকে এবারের আসরে অবিক্রিত থাকা জনি বেয়ারস্টো ডাক পেয়েছিলেন বদলি হিসেবে। ঝোড়ো শুরুর পর তিনি আউট হয়েছেন নিশ্চিত অর্ধশতরান হাতছাড়া করে। ২২ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৭ রান করেন এই ইংলিশ তারকা। তার বিদায়ে মুম্বাইয়ের ৮৪ রানের দারুণ ওপেনিং জুটি ভাঙে। এরপর রোহিত-সূর্যকুমারের ৫৯ ও রোহিত-তিলকের ৪৩ রানের জুটি দলকে বড় সংগ্রহের পথে নিয়ে যায়।২৮ বলে হাফসেঞ্চুরি ?পূর্ণ করা রোহিত শেষমেশ আউট হন ৫০ বলে ৮১ রানে। মেরেছেন ৯ চার ও ৪ ছক্কা। এ ছাড়া ক্যামিও ইনিংস খেলে সূর্যকুমার যাদব (২০ বলে ৩৩), তিলক ভার্মা (১১ বলে ২৫) ও হার্দিক পান্ডিয়া (৯ বলে অপরাজিত) মুম্বাইয়ের সংগ্রহ দাঁড় করান ২২৮ রান। গুজরাটের পক্ষে প্রসিধ কৃষ্ণা ও সাই কিশোর ২টি করে উইকেট শিকার করেন। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আসরজুড়ে গুজরাটকে পথ দেখানো ওপেনিং জুটি দ্রুতই ভেঙে যায় অধিনায়ক শুভমান গিলের বিদায়ে। ইনিংসের চতুর্থ বলেই তাকে ১ রানে ফেরান ট্রেন্ট বোল্ট। এরপর অভিষিক্ত কুশল মেন্ডিসকে সঙ্গে নিয়ে সুদর্শন পাল্টা লড়াই শুরু করেন। কিন্তু অন্যপ্রান্তে ঝড়ের আভাস দিয়ে ১০ বলে ২০ রান করতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পা দিয়ে স্টাম্প ভেঙে বসেন মেন্ডিস। এরপর গুজরাটকে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেন সুদর্শন-ওয়াশিংটন সুন্দর জুটি। ৮৪ রানের সেই জুটি ভাঙে সুন্দরের বিদায়ে।
জাসপ্রিত বুমরাহ’র বলে বোল্ড হওয়ার আগে ২৪ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় তিনি ৪৮ রান করেন। ১৯ রানের ব্যবধানে সুদর্শনও আউট হলে গুজরাটের আশা ক্রমেই কমে আসে। ৪৯ বলে ১০ চার ও ১ ছক্কায় ৮০ রান করেন আসরের এই সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক। সুদর্শনের বিদায়ের পর আর সেভাবে কেউ গুজরাটকে আশা দেখাতে পারেননি। শেষদিকে শেরফান রাদারফোর্ড ২৪, শাহরুখ খান ১৩ ও রাহুল তেওয়াটিয়ার ১৬ রান কেবল হারের ব্যবধান কমিয়েছে। মুম্বাইয়ের পক্ষে খরুচে বোলিং করে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন বোল্ট। আইপিএলের ফাইনালে ওঠার লক্ষ্যে আগামীকাল (সোমবার) আহমেদাবাদে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হবে মুম্বাই ও পাঞ্জাব কিংস।
