সাইফুল্লাহ, গাজীপুর
গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (গাকৃবি) এর প্যাথোবায়োলজি বিভাগে “এমএস ইন প্যারাসাইটোলজি” এবং “পিএইচডি ইন প্যাথোলজি” ডিগ্রি প্রদানের লক্ষ্যে কোর্স চালুকরণ বিষয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশিয় ও বৈশ্বিক স্বাস্থ্যঝুঁকির মোকাবেলায় প্রস্তুতি, গবেষণায় দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি, প্রাণীসম্পদ খাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, আন্তর্জাতিকমানের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে কোর্স চালুকরণের উদ্যোগ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথোবায়োলজি বিভাগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালাটি গতকাল শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন অডিটোরিয়ামে সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান। গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. রমিজ উদ্দীন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো-উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. ময়নুল হক এবং ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. সফিউল ইসলাম আফ্রাদ। এছাড়াও কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি মেডিসিন এন্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্স অনুষদের ডিন, পরিচালক (ছাত্র-কল্যাণ), পরিচালক (বহিরাঙ্গণ কার্যক্রম), প্যাথোবায়োলজি বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ-শিক্ষার্থীবৃন্দ, রেজিস্ট্রারসহ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত বিশেষজ্ঞবৃন্দ। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন প্যাথোবায়োলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মো. গোলাম হায়দার। এরপর ডিগ্রি দুটির কোর্স লে-আউট পর্বে পিএইচডি ইন প্যাথোলজি বিষয়ে তথ্যবহুল প্রেজেন্টেশন দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথোবায়োলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মো. তৈমুর ইসলাম এবং মাস্টার অব সায়েন্স (এমএস) ইন প্যারাসাইটোলজি ডিগ্রির উপর উপস্থাপনা প্রদান করেন একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শেখ আরাফাতুর রহমান। উপস্থাপনায় শিক্ষকবৃন্দ ডিগ্রি দুটির প্রয়োজনীয়তা, গুরুত্ব এবং সুবিধাবলির প্রসঙ্গ উল্লেখপূর্বক কোর্স সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। পরে কোর্স দুটিকে কীভাবে সুচারুরূপে পরিচালনা করা যায় সে লক্ষ্যে ফ্লোর উন্মুক্ত করে উপস্থিত বিশেষজ্ঞবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। উন্মুক্ত এ প্রশ্নোত্তর পর্বে বিশেষজ্ঞগণ নতুন কোর্স কাঠামো, পাঠ্যসূচি, একাডেমিক ও গবেষণার মান উন্নয়নসহ বিভিন্ন মতামত ও পরামর্শ প্রদান করেন। পরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, “প্যাথোবায়োলজি বিভাগে গবেষণার ক্ষেত্র সম্প্রসারণ ও উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে এই দুটি ডিগ্রির চালু হওয়া সময়োপযোগী ও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।” এ প্রোগ্রামের মাধ্যমে দেশের প্রাণিস্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলেও উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বক্তব্যের শেষে উপাচার্য আমন্ত্রিত বিশেষজ্ঞসহ উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানান। উল্লেখ্য, ২০১১ সালে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্যাথোবায়োলজি বিভাগটি প্রতিষ্ঠা পাবার পর থেকে বর্তমান বিশ্বে স্বাস্থ্য, কৃষি এবং প্রাণিসম্পদ খাতে যে দ্রুত পরিবর্তন ও চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে তার সঙ্গে তাল মেলাতে বহুমুখী ভূমিকার রেখে চলেছে যে উপযোগিতাকে লক্ষ্য করে এ কর্মশালায় মধ্যদিয়ে “এমএস ইন প্যারাসাইটোলজি” এবং “পিএইচডি ইন প্যাথোলজি” প্রোগ্রাম চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল।