ইউসুফ আহমেদ তুষার, কাশিমপুর কোনাবাড়ী
গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুর থানাধীন নং ওয়ার্ড সারদাগঞ্জ এলাকায় একটি বাসায় সশস্ত্র হামলা, লুটপাট ও নারী নির্যাতনের ঘটনায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকাবাসীর মধ্যে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সংঘটিত এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন স্থানীয়রা এবং অভিযুক্তদের দ্রুত বিচার দাবি করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, গত ৯ মে রাত আনুমানিক ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে স্কয়ার টেক্সটাইল সংলগ্ন একটি বাসায় মোছাঃ রোজিনা বেগম (৩২) ও তার ১৪ বছর বয়সী কন্যা মোসা. ফাতেমার ওপর হামলা চালায় একদল সশস্ত্রী লোক। অভিযোগ অনুযায়ী, মো. তোফাজ্জল হোসেন মুন্সির নেতৃত্বে ৮-১০ জনের একটি দল লোহার রড, বাঁশের লাঠি ও কাঠের বাটাম দিয়ে মা-মেয়েকে মারধর করে। এতে তাদের শরীরে নীলচিহ্ন ও গুরুতর জখমের সৃষ্টি হয়। হামলাকারীরা ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে। এছাড়াও, রোজিনার শোবার ঘরের ওয়ার ড্রয়ার থেকে ৬০ হাজার টাকা এবং স্টিলের আলমারি থেকে তার কন্যার ২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার (বাজার মূল্য আনুমানিক ২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা) চুরি করে নিয়ে যায়। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্ত মো. জাকির হোসেন রোজিনার গলা থেকে ১ ভরি ২ আনার স্বর্ণের চেইন (মূল্য প্রায় ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা) ছিনিয়ে নেন। এ সময় ২ নম্বর অভিযুক্ত মো. সোহরাব হোসেন রোজিনার জামাকাপড় ছিঁড়ে তার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। প্রতিবেশী মো. রাহাদ হোসেন (৩৫) জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়, তবে ততক্ষণে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। হামলার পর মা-মেয়েকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে স্থানীয় একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তারা শারীরিকভাবে আহত এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছেন। ভুক্তভোগী রোজিনা বলেন, “আমরা চরম আতঙ্কে আছি। অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে। প্রশাসনের কাছে দ্রুত বিচার ও নিরাপত্তা চাই।” এ বিষয়ে মো. তোফাজ্জল হোসেন মুন্সির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “অভিযোগ পেয়েই আমরা তদন্ত শুরু করেছি। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে আমাদের অভিযান চলমান আছে। এলাকাবাসী এই ঘটনার দ্রুত বিচার দাবি করে বলেন, এভাবে একজন নারী ও তার শিশুকন্যার ওপর বর্বর হামলা মেনে নেওয়া যায় না। দোষীদের কঠোর শাস্তি হওয়া দরকার।
৭.
গাজীপুরে সশস্ত্র হামলা-লুটপাটসহ মারধরের অভিযোগ আতঙ্কিত এলাকাবাসী
ইউসুফ আহমেদ তুষার, কাশিমপুর কোনাবাড়ী
গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুর থানাধীন নং ওয়ার্ড সারদাগঞ্জ এলাকায় একটি বাসায় সশস্ত্র হামলা, লুটপাট ও নারী নির্যাতনের ঘটনায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকাবাসীর মধ্যে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সংঘটিত এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন স্থানীয়রা এবং অভিযুক্তদের দ্রুত বিচার দাবি করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, গত ৯ মে রাত আনুমানিক ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে স্কয়ার টেক্সটাইল সংলগ্ন একটি বাসায় মোছাঃ রোজিনা বেগম (৩২) ও তার ১৪ বছর বয়সী কন্যা মোসা. ফাতেমার ওপর হামলা চালায় একদল সশস্ত্রী লোক। অভিযোগ অনুযায়ী, মো. তোফাজ্জল হোসেন মুন্সির নেতৃত্বে ৮-১০ জনের একটি দল লোহার রড, বাঁশের লাঠি ও কাঠের বাটাম দিয়ে মা-মেয়েকে মারধর করে। এতে তাদের শরীরে নীলচিহ্ন ও গুরুতর জখমের সৃষ্টি হয়। হামলাকারীরা ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে। এছাড়াও, রোজিনার শোবার ঘরের ওয়ার ড্রয়ার থেকে ৬০ হাজার টাকা এবং স্টিলের আলমারি থেকে তার কন্যার ২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার (বাজার মূল্য আনুমানিক ২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা) চুরি করে নিয়ে যায়। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্ত মো. জাকির হোসেন রোজিনার গলা থেকে ১ ভরি ২ আনার স্বর্ণের চেইন (মূল্য প্রায় ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা) ছিনিয়ে নেন। এ সময় ২ নম্বর অভিযুক্ত মো. সোহরাব হোসেন রোজিনার জামাকাপড় ছিঁড়ে তার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। প্রতিবেশী মো. রাহাদ হোসেন (৩৫) জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়, তবে ততক্ষণে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। হামলার পর মা-মেয়েকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে স্থানীয় একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তারা শারীরিকভাবে আহত এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছেন। ভুক্তভোগী রোজিনা বলেন, “আমরা চরম আতঙ্কে আছি। অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে। প্রশাসনের কাছে দ্রুত বিচার ও নিরাপত্তা চাই।” এ বিষয়ে মো. তোফাজ্জল হোসেন মুন্সির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “অভিযোগ পেয়েই আমরা তদন্ত শুরু করেছি। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে আমাদের অভিযান চলমান আছে। এলাকাবাসী এই ঘটনার দ্রুত বিচার দাবি করে বলেন, এভাবে একজন নারী ও তার শিশুকন্যার ওপর বর্বর হামলা মেনে নেওয়া যায় না। দোষীদের কঠোর শাস্তি হওয়া দরকার।