আন্তর্জাতিক ডেস্ক
গাজায় আটকে থাকা জিম্মিদের অবিলম্বে ফিরিয়ে আনার দাবিতে ইসরায়েলের দুই মন্ত্রীর বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন জিম্মিদের স্বজনরা। রোববার স্থানীয় সময় সকাল থেকে এ বিক্ষোভ শুরু হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ইসরায়েলি দৈনিক টাইমস অব ইসরায়েল। যে দুই মন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা, তারা হলেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ এবং কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাভি দিচতার। ইসরায়েল কাৎজের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেওয়া ইয়েহুদা কোহেন টাইমস অব ইসরায়েলকে জানান, তার ছেলে নিমরোদ কোহেনকে গত ৭ অক্টোবর জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এখনও নিমরোদ মুক্তি পাননি। নিমরোদ ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর একজন সদস্য ছিলেন। “আমি এখানে প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে স্মরণ করিয়ে দিতে এসেছি যে আমার ছেলে নিমরোদ, যে ইসরায়েলকে রক্ষার জন্য সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিল— গাজার কোনো এক অন্ধকার সুড়ঙ্গে সে গত ৬৮৮ দি;ন ধরে বন্দি আছে।” “আমি মন্ত্রীকে এটাও স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে তিনি ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী, যুদ্ধমন্ত্রী নন”, টাইম অব ইসরায়েলকে বলেন ইয়াহুদা কোহেন।
প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পাশাপাশি ইসরায়েলের কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাভি দিকচারের বাসভবনের সামনেও অবস্থান নিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। মিশাল লেভি নামের এক নারী জানান, তার বোনের স্বামী ওমারি মিরান এখনও গাজায় জিম্মি অবস্থায় আছেন।টাইম অব ইসরায়েলকে মিশাল বলেন, “গত ৬৮৮ দিন ধরে আমার ভগ্নিপতি গাজায় জিম্মি অবস্থায় আছেন। আমরা, তার পরিবারের সদস্যরা জানতে চাই যে সরকারেরে দায়িত্ববোধ কোথায় গেল? তার স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা কী পরিমাণ উদ্বেগ নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন— সে ব্যাপারে কোনো ধারণা কি মন্ত্রীদের আছে?”’২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় তারা।
অতর্কিত এই হামলার জবাব দিতে এবং জিমিদের উদ্ধারে হামাসের হামলার পরপরই গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সোমবারের পর ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬২ হাজার ২৫৩ জনে। এদের পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৫৭ হাজার ৩৬৫ জন ফিলিস্তিনি। কিন্তু বিপুলসংখ্যক মানুষ নিহত ও আহত হওয়া এবং পুরো গাজা উপত্যকা ধ্বংস্তূপে পরিণত হওয়ার পরও এখন পর্যন্ত সব জিম্মিকে উদ্ধার করতে পারেনি ইসরায়েলি সেনারা। ধারণা করা হচ্ছে, হামাসের হাতে এখন পর্যন্ত ১৫ থেকে ২০ জন ইসরায়েলি জিম্মি বন্দি অবস্থায় আছেন।
