গাইবান্ধা প্রতিনিধি।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্ত(এলজিইডি) এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ছাবিউল ইসলাম পৈত্রিক জমি বিক্রয়ের টাকা নিয়ে তার রাজশাহীর গ্রামের নীজ বাড়ি ফেরার পথে নাটোরের চলনবিল গেটে পুলিশী তল্লাশির মুখে পড়েন তার প্রাইভেট কারটি। এসময় জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় নেয় সিংড়া থানা পুলিশ। এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন তার পরিবার। তবে তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজেকে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী হিসাবেই পরিচয় দেন।
প্রকৌশলী মো. ছাবিউল ইসলাম জানান, তার তল্লাশির আগে প্রাইভেট কারে থাকা ৩৬ লাখ ৯৪ হাজার তিনশ টাকার বৈধতা রয়েছে।
এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলীর ঘনিষ্ঠ এক আত্মীয় জানান, গত শুক্রবার তিনি তার নিজ নামীয় জমি বিক্রির টাকাগুলো হাতে পাওয়ায় গ্রামের বাড়ি থেকে রাজশাহী যাচ্ছিলেন। নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের চলনবিলের গেটে তল্লাশির কবলে পড়ে তার প্রাইভেট কার এবং গাড়িতে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় তল্লাশির আগেই তিনি তার গাড়ীতে পৈত্রিক জমি বিক্রির টাকা থাকার বিষয়টি পুলিশদের নিশ্চিত করেছেন। টাকার পরিমান বেশি হওয়ায় চেকপোস্টে তল্লাশির দায়িত্বরত পুলিশরা তড়িঘড়ি করে টাকাগুলো কোথায় তা জেনে বের করেন এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করেন। পরে প্রাইভেটকারসহ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিংড়া থানায় নেয়া হয় এবং টাকাগুলোর বৈধতা নিশ্চিত তথ্য চেয়ে নির্বাহী প্রকৌশলীকে ছেড়ে দেয়া হয়। জানতে চাইলে গাইবান্ধা এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ছাবিউল ইসলাম বলেন, পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রির টাকা এবং মেটলাইফ ইন্সুরেন্স এর জমানো টাকাসহ আমার বাড়ি রাজশাহীতে ফেরার পথে চলন বিল গেটে পুলিশ আমার গাড়ীর গতি থামিয়ে পরিচয়সহ গন্তব্য জানতে চায় এবং তল্লাশির আগেই গাড়ীতে থাকা আমার বৈধ টাকার বিষয়টি তাদের জানানোয় আচমকাই তাদের মধ্যে নানাবিধ কথা চলতে থাকে ও টাকা গাড়ির কোথায় রেখেছি সে তথ্যও তাদের বলেছি। যেখানে জেলা শহরে এক শতাংশ জমির দাম ২০ লক্ষাধিক টাকা সেখানে পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রির টাকা ৩৬-৩৭ লাখ মোটেও অস্বাভাবিক পরিমান হতে পারে না।