গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধা সদর উপজেলার কুপতলায় নারী শিশু নির্যাতন ও যৌতুক মামলার আসামী কর্তৃক বাদী ও তার লোকজনকে মামলা তুলে নিতে ভয়-ভীতি, হুমকী প্রদর্শন করায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে জানান মামলার বাদী নুরজাহান। মামলা সুত্রে জানা যায়, গাইবান্ধা সদর উপজেলার কুপতলা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ডাকুয়ারকুঠি গ্রামের মো. নুরুল আমিন এর কন্যা মোছাঃ নুরজাহান খাতুনের সাথে একই উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মো. নওশা মিয়ার পুত্র মো. আশরাফুল ইসলামের সাথে ১৮ সালের ১৬ এপ্রিল এক লক্ষ টাকা দেনমোহরানা ধার্যে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিবাহের কিছুদিন পরেই যৌতুকের টাকার জন্য তার স্ত্রীকে অমানুষিক নির্যাতন চালায়। এরই মাঝে নুরজাহান এক পুত্র সন্তানের জন্ম দিলেও থামেনি নির্যাতন। ২৩ সালের ১৫ ই মে ২ লক্ষ টাকা যৌতুকের জন্য গৃহবধু নুরজাহানকে বেদম মারপিট করে এবং বাড়ী থেকে বের করে দেয়। নিরুপায় হয়ে গৃহবধু নুরজাহান পিতার বাড়ীতে আশ্রয় নেয়। ২৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর যৌতুকলোভী স্বামী পূনরায় নুরজাহানের পিত্রালয়ে গিয়ে ২ লক্ষ টাকা যৌতুক না দিলে সংসার হবেনা বলে হুমকি দেন। ফলে নিরুপায় হয়ে ভূক্তভোগী নুরজাহান খাতুন সে বছরেই ১৬ অক্টোবর গাইবান্ধা বিজ্ঞ সদর আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি নিরসনের লক্ষ্যে গাইবান্ধা মানবাধিকার কর্মীরা আসামীদের বাড়িতে গেলে তাদেরকেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ মামলা তুলে নেয়ার হুমকী দেন। ফলে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী নুরজাহান।