গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধা সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের সোনাইডাঙ্গা গ্রামে দক্ষিণ পার্শ্বে এবং পশ্চিম পার্শ্বে অবস্থিত ২টি পুরাতন সেতুর মালামাল নিলাম না করেই ঠিকাদারের সঙ্গে আতাঁত করে লোপাট করার অভিযোগ উঠেছে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। সদর উপজেলার সোনাইডাঙ্গা গ্রামের দক্ষিণ পার্শ্বে একটি ৬মিটার পুরাতন সেতু এবং পশ্চিম পার্শ্বে ৯ মিটার পুরাতন সেতু ভেঙ্গে একই স্হানে নতুন সেতু তৈরি করা হয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অধীনে ‘’গ্রামীণ রাস্তা কম-বেশি ৬ মিটার এবং ৯ মিটার ২টি সেতুর নিমার্ণ কাজ করছে সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের ঠিকাদার। অভিযোগ উঠেছে এই ২টি সেতুর পুরাতন মালামাল নিলাম না করেই ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশ করে লোপাট করা হয়েছে।
নির্মাণ কাজের মিস্ত্রি’র তথ্য সূত্রে জানা যায়, ২টি সেতুর আনুমানিক ১থেকে দেড় টন রড এবং ইট বের হয় প্রচুর পরিমাণে। সেতু দুইটির সম্পদ ছিল প্রায় ৪-৫ লক্ষ টাকা। সোনাইডাঙ্গা দক্ষিণ গ্রামের সেতু সংলগ্ন এলাকার নায়েব উদ্দিন বলেন, আগের জায়গায়তেই নতুন সেতুটা হলো এক রকমেই বেশ ভালো। কিন্তু আগের সেতুটা যে ভাঙ্গি নিয়া গেল ঠিকাদার সেটার নাকি কিছুই করে নাই।
এগলা কেমন কথা বাহে। এই সেতুটা ভাঙ্গার পরে কতগুলো রড ইট বাই হলো এগলা তাহলে কই গেলো। সব কি অফিসার আর ঠিকাদারের পেটোত গেল। স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী রিয়াজুল ইসলাম রিয়াদ বলেন, আমাদের এলাকায় ২টা নতুন সেতু হলো পুরাতন সেতু ভেঙ্গে সেম জায়গাতেই। পুরাতন সেতুর যে মালমাত্তা ছিল এগুলো তো সরকারি সম্পত্তি, এগুলো ভাঙ্গা বা বিক্রি করার নিয়ম তো ওয়াকর্শন করে।
কিন্তু আজ পর্যন্ত দেখলাম না যে কোনো ওয়াকর্শন হয়েছে কি না হয়েছে শুনলামও না। ভাঙ্গরি ওয়ালারা এখান থেকে সরাসরি কিনে নিয়ে যায়। পুরাতন ইট ও রডসহ কমপক্ষে ৪-৫ লক্ষ টাকার মতো হতে পারে। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান পলাশ জানান, এই সেতু ২টির ওয়াকর্শন না করেই কেন সরকারি মালামাল লোপাট করা হলো। এটা তদন্ত করা দরকার।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহমুদ আল হাসান নবচেতনাকে জানান, এ বিষয়ে আমার জানা ছিল না। তদন্ত করে প্রমাণ পাওয়া গেলে কঠোর আইননানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।