গরমে চাহিদা বেড়েছে ডাবের, বাজার সয়লাব আম-লিচুতে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক            

চলমান তাপপ্রবাহে তৃষ্ণা নিবারণের জন্য চাহিদা বেড়েছে ডাবের। কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বাজারে ক্রেতা কমে যাওয়ায় কিছুটা কমেছে ডাবের দাম। তবে, হাতের নাগালে রয়েছে মৌসুমি ফল আম ও লিচুর দাম। পর্যাপ্ত জোগানও রয়েছে। মঙ্গলবার (১০ জুন) রাজধানীর মিরপুর-১১ নম্বর ও পল্লবী ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। সরেজমিনে দেখা যায়, বাজারে তিন ধরনের আম পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে আম্রপালি, ল্যাংড়া ও হিমসাগর আকারভেদে ৮০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পল্লবী মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন ফলের বাজারে ডাব বিক্রি করেন আমিনুর। কথা হলে তিনি বলেন, গরমে ডাবের চাহিদা বেড়েছে। আগের তুলনায় ৫০-৬০ পিস বেশি বিক্রি হচ্ছে। ছোট সাইজের ডাব ১০০-১২০ টাকা ও বড় সাইজের ডাব ১৪০-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তিনি বলেন, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর থেকে আবার কখনো কারওয়ান বাজার ও মিরপুর ১ নম্বর থেকে ডাব এনে বিক্রি করছি। ডাবের দাম এখন কিছুটা কম। ঘরমুখো মানুষ ঢাকায় ফিরলে দাম বাড়তে পারে।দোকানটিতে কথা হলে পল্লবীর বাসিন্দা আসাদুর বলেন, তীব্র গরমে হেঁটে ক্লান্ত হয়ে গেছি। তাই ক্লান্তি দূর ও তৃষ্ণা মেটাতে ডাব খেলাম। সরেজমিনে দেখা যায়, ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে যারা ঢাকায় আছেন তাদের অনেকেই আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে যেতে কিনছেন আম ও লিচু। কেউ কেউ বাসার জন্যও কিনছেন আম, জাম ও কাঁঠাল। মিরপুর-১১ নম্বর কাঁচা বাজারে কথা হয় ফল ব্যবসায়ী হামিদুলের সঙ্গে। তিনি বলেন, এখন আম্রপালি বিক্রি হচ্ছে বেশি। বড় আকারের আম্রপালি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজিতে। তবে, ল্যাংড়া ও হিমসাগরের চাহিদা বেশি। আর একশ লিচু বিক্রি করছি ৪৮০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ৪৫০-৪৬০ টাকা। সিজন শেষের দিকে, তাই দাম একটু বাড়তি। তিনি বলেন, কোথাও লিচুর দাম প্রতি একশতে (১০০ লিচু) ২০-৩০ টাকা বেড়েছে। আকারভেদে প্রতি পিস কাঁঠাল ১৫০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাড়েনি আমের দাম।

তার পাশেই আরেক দোকানদার আসিফুল লিচু বিক্রি করছিলেন ৬০০ টাকায়। তিনি বলেন, এগুলো অরজিনাল বোম্বাই লিচু। গত সপ্তাহে ৫৫০-৫৬০ টাকায় বিক্রি করেছি। সিজন শেষের দিকে তাই একটু দাম বেড়েছে। জাম ১০০-১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আকারভেদে প্রতি পিস আনারস বিক্রি হচ্ছে ৩০-৫০ টাকায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *