রবিউল ইসলাম (সাতক্ষীরা) শ্যামনগর
পৌষের শেষে কনকনে শীতে কাবু জনজীবন। শীতের তীব্রতায় চরম বিপাকে পড়েছে দিনমজুর, খেটে খাওয়া গরিব অসহায় শীতার্ত মানুষ। এসময় তাদের শীতের কষ্টো লাগবের জন্য কনকনে শীত উপেক্ষা করে গভীর রাতে মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে শীতার্ত হতদরিদ্র, অসহায় ও প্রকৃত ছিন্নমূল মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করছেন শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. রনি খাতুন। এভাবে গত এক সপ্তাহ ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিনি নিজ হাতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাসহ ছিন্নমূল অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করছেন। গত সোমবার গভীর রাতে উপজেলার কাশিমাড়ী মানসিক ভারসাম্যহীন, ভ্যান চালক, ভাসমান দোকানদার, ঝাড়ুদার, ভিক্ষুক, অসহায় পরিবারের মাঝে নিজ হাতে কম্বল বিতরণ করতে দেখা গেছে তাঁকে। কনকনে শীতের রাতে নিজের দুয়ারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি খাতুন হাতে কম্বল দেখে ছিন্নমূল দুঃস্থ, অসহায় মানুষগুলো আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। শীতবস্ত্র পাওয়া একাধিক ব্যক্তি বলেন, এই কনকনে শীতের মধ্যে কম্বল পেয়ে আমাদের অনেক উপকার হয়েছে। ফ্রি কম্বল পাওয়ায় অন্তত শীত থেকে নিজেদেরকে আরেকটু ভালোভাবে রক্ষা করতে পারবো। অনেকে আবেগ আপ্লুত হয়ে বলেন, বিশ্বাস করতে কষ্টো হচ্ছে এত গভীর রাতে ইউএনও আমাদের মতো অসহায়দের ঘরের দুয়ারে এসে কম্বল দিয়েছেন। প্রকৃত দুঃস্থদের কাছে কম্বল বিতরণ করতে এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন উল্লেখ করে ইউএনও মোছা. রনি খাতুন বলেন, ডেকে এনে দিলে যার প্রয়োজন সেও হাত বাড়ায়, যার প্রয়োজন নেই সেও হাত বাড়ায়। যারা প্রকৃত দুঃস্থ, যাদের কম্বল প্রয়োজন তাদের অনেকেই দিনের বেলায় মাঠে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকেন। রাতে সকলকে ঘরে পাওয়া যায়। তাছাড়া মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে তাদের বিভিন্ন সমস্যাগুলো শুনতে পাচ্ছি। সেগুলো সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগও নিতে পারছি। কেবল দায় এড়ানোর জন্য নয়, মানবিক দায়িত্ববোধ থেকে প্রতি রাতে অসহায় শীতার্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। উপজেলার প্রতিটি গ্রামে গ্রামে ঘুরে ছিন্নমূল, গরীব ও অসহায় শীর্তাত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।