শেখ জিকু আলম, খুলনা
খুলনায় বাংলাদেশ পুলিশের ৫৭তম ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) ব্যাচের ৬০৮ জন প্রশিক্ষণার্থীর প্রশিক্ষণ সমাপনী ও কুচকাওয়াজ গতকাল রোববার খুলনার পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পুলিশের অ্যাডিশনাল আইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. আকরাম হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণসহ কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। পরবর্তীতে তিনি কৃতি প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে ট্রফি প্রদান করেন এসময়ে উক্ত ব্যাচের সর্ববিষয়ের মধ্যে টিআরসি মো. ওয়াহিদ হাসান, একাডেমিক বিষয়ে শ্রেষ্ঠ টিআরসি মো. ইমরুল কায়েস, মাঠ বিষয়ে শ্রেষ্ঠ টিআরসি মো. হৃদয় ইসলাম এবং মাসকেট্রিতে শ্রেষ্ঠ টিআরসি নির্বাচিত হন সোহানুর রহমান। রিক্রুট কনস্টেবলদের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথি হিসেবে অ্যাডিশনাল আইজি তিনি তার বক্তৃতায় বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের বীরত্বগাথা গৌরব এবং দেশের বিভিন্ন ক্লান্তিলগ্নের সেই পুলিশের অবদানকে আমাদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা উচিত। তিনি আরও বলেন, এই সমাপনী ও কুচকাওয়াজের মধ্যদিয়ে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা, সরকারি সম্পদরক্ষা, আইনশৃঙ্খলা, নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থাপনায় জনগণের প্রত্যাশা পূরণের লক্ষেই তোমরা আজ কর্মজীবন শুরু করতে যাচ্ছ। অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও জনগণের জীবন এবং সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকা অপরিহার্য। বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আপামর জনগণের স্বপ্ন পূরণে নতুন পুলিশ সদস্যদের আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে। দেশের সীমান পেরিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় পুলিশ বাহিনীর ব্যাপক ভূমিকা গ্রহণ আজ বাংলাদেশের মর্যাদা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। পুলিশের মূলমন্ত্র শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা, প্রগতি, কর্তব্য, নিষ্ঠার পাশাপাশি দক্ষতার সাথে কাজ করতে পারলে তোমরাই হবে আগামী দিনের দেশের অহংকার। তিনি সর্বোচ্চ দক্ষতা, পেশাদারিত্ব এবং সততার সাথে দায়িত্ব পালনে নতুন পুলিশ সদস্যদের উদাত্ত আহবান জানান। উক্ত সমাপনী ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে খুলনার পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট (ডিআইজি) আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরী, জাহানাবাদ সেনানিবাসের কমান্ড্যান্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী সাজ্জাদ হোসেন, খুলনা পুলিশের রেঞ্জ ডিআইজি মো. রেজাউল হক, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার, সামরিক ও বেসামরিক বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং প্রশিক্ষণার্থীদের অভিভাবকবৃন্দরা এসময়ে উপস্থিত ছিলেন।