শেখ জিকু আলম, খুলনা
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ এডভাইজারি কমিটি (আরএসি) এর ২০তম সভা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন সংশ্লিষ্ট কমিটির সভাপতি ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম। সভায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ২য় পর্যায়ের গবেষণা প্রকল্প প্রস্তাবনার অনুকূলে গবেষণা বরাদ্দ নিয়ে আলোচনা করা হয়। পরবর্তীতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের ইউনিক ও ইনোভেটিভ বিষয়ে গবেষণা প্রকল্প জমা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এসময়ে হিট থেকে প্রজেক্ট পাওয়ার ব্যাপারে প্রস্তাবনা জমা দেওয়ার জন্য শিক্ষকদের উৎসাহিত করা হয়। উক্ত সভায় সভাপতির বক্তব্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চল হওয়ায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে উপকূলীয় অঞ্চলসহ দেশের মানুষের অনেক প্রত্যাশা রয়েছে। সে প্রত্যাশা পূরণে জনসম্পৃক্ত সমস্যাগুলো নিয়ে ব্যাপক গবেষণা হওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে যে সমস্ত ছোট ছোট বিষয়ে গবেষণা হয়েছে, ভবিষ্যতে সে সমস্ত বিষয় নিয়ে বড় ধরনের গবেষণা হওয়া জরুরী। সে কারণে কোলাবরেটিভ/মাল্টিডিসিপ্লিনারি ও ইমপ্যাক্টফুল গবেষণার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। যাতে গবেষণালব্ধ ফলাফল প্রান্তিক পর্যায়ে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে। উক্ত সভায় আরও বক্তৃতা করেন আরএসি’র সদস্য ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হারুনর রশীদ খান। সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্য-সচিব এবং গবেষণা ও উদ্ভাবনী কেন্দ্রের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কাজী দিদারুল ইসলামের সঞ্চালনায় এসময়ে সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন কমিটির সদস্যবৃন্দ যথাক্রমে জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মো. গোলাম হোসেন, সামাজিক বিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. আব্দুল্লাহ আবুসাঈদ খান, ফার্মেসী ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. শেখ জামাল উদ্দিন, স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. খো. মাহফুজ উদ-দারাইন, অর্থনীতি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হায়দার এবং আরএসি’র বহিঃস্থ সদস্য ও মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট পাইকগাছা খুলনার মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. লতিফুল ইসলাম।