চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চট্টগ্রামের এক সমাবেশ প্রতিহত করতে গিয়ে নিজের গুলিতে নিজের চোখ হারানো সন্ত্রাসী খোরশেদ আলম প্রকাশ কানা খোরশেদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালী থানা ও জেলার বাঁশখালি থানায় অর্ধ ডজনের বেশি মামলা আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে গতকাল রোববার দুপুরে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল করিম বলেন, শনিবার রাতে খোরশেদ আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে কোতোয়ালী থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। কোতোয়ালী এবং জেলার বাঁশখালী মিলে তার বিরুদ্ধে অর্ধ ডজনের বেশি মামলা রয়েছে। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও নগর ছাত্রদলের তৎকালীন সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, ১৯৯৬ সালে কাজির দেউড়িস্থ আউটার স্টেডিয়ামে বেগম জিয়ার সমাবেশ ছিল। সেই সমাবেশে যোগ দিতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে নেতা কর্মীরা মিছিল সহকারে আসেন। এমইএস কলেজ, নন্দকানন, আন্দরকিল্লায় মিছিলে গুলি করা হয়েছিল। গুলিবিদ্ধ হয়ে এক শিক্ষিকাসহ আমাদের ৪ জন নেতাকর্মী মারা যান। খোরশেদের নেতৃত্বে আন্দরকিল্লা এলাকায় গুলি করা হয়েছিল। জানা গেছে, গুলি ছুড়তে গিয়ে নিজের গুলিতে নিজেই আহত হয়ে চোখ হারান খোরশেদ। এক সময়ের সেই শীর্ষ সন্ত্রাসী খোরশেদ নগর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে স্থান করতে চেয়েও তা পারেননি। পরে দক্ষিণ জেলায় স্থির হন। সর্বশেষ গত ৫ জুন ২০২৪ বাঁশখালীর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনে নিজ দলীয় নেতাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করে নেন বলে অভিযোগ খোদ দলীয় নেতাকর্মীদের। সন্ত্রাসী কানা খোরশেদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানায় পুলিশ।
