ePaper

ক্ষিতীশ চন্দ্র শীলের ছড়াবাণী বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

দিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুরের প্রবীণ শিক্ষক-লেখক ক্ষিতীশ চন্দ্র শীলের ’ছড়াবাণী’ (১ম খন্ড) বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। ৪ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে দিনাজপুর গোপালগঞ্জে সৎসঙ্গ বিহারে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন লেখকের সহধর্মীনি ও চেক-আপ ডায়াগনস্টিক হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্রতিমা রাণী শীল ও তার জ্যেষ্ঠপুত্র ডা. শিলাদিত্য শীল। গ্রন্থটি নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন দিনাজপুর জিলা স্কুলের শিক্ষক-লেখক শাহজাহান সাজু, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সজীব কুমার রায়, কবি বাসুদবে শীল, কবি দূর্জয় রায়, দিনাজপুর ইকবাল হাইস্কুলের শিক্ষক টংকনাথ রায় প্রমুখ। আলোচনায় শাহজাহান সাজু বলেন, ‘বাংলা সাহিত্যে হিতোপদেশ কবিতা বা ছড়া কাঠামোর আদলে কবি ও ছড়াকার ক্ষিতীশ চন্দ্র শীল তাঁর ছড়াবাণী গ্রন্থের ছড়াগুলো লিখেছেন। প্রতিটি চার চরণের ছড়ায় শ্রীশ্রী অনুকূল চন্দ্রের জীবন দর্শন এবং ব্যক্তিগত জীবনবোধ ফুটিয়ে তুলেছেন। বাংলা সাহিত্য থেকে বিলুপ্ত প্রায় অসংখ্য সংস্কৃত শব্দের ব্যবহার করেছেন। ছাড়াগুলোতে ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয়কে জীবনাচরণমুখী আলোচনার মধ্যে এনেছেন। ’‘মানুষ সম্পদ তৈরী না করে/ যতই ছুটি উন্নতির পিছু, / মানব সম্পদ তৈরী না হলে/ দেশ দুনিয়ার হবে না কিছু’’ এমন নানা জাগতিক ও ধর্মীয় বিষয় নিয়ে গ্রন্থটিতে মোট ৭৯৬টি ছড়া রয়েছে। প্রতিটি ছড়া চার চরণে আবৃত। বইটির প্রকাশক এস প্রমথেশ শীল। মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে আড়াই শত টাকা ২৫০ টাকা। বিক্রয়লব্ধ অর্থ সৎসঙ্গ মন্দির উন্নয়নে ব্যবহার করা হবে। কবি ও ছড়াকার ক্ষিতীশ চন্দ্র শীলের জন্ম ১৯৪৫ সালের ২৭ অক্টোবর। ব্যক্তিজীবনে তিনি দিনাজপুর একাডেমী স্কুলের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) ছিলেন। ২০০৫সালে অবসরগ্রহণ করেন। লিখালিখির পাশাপাশি তিনি দিনাজপুর সৎসঙ্গ বিহারের প্রতিষ্ঠাতা এবং বর্তমান সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। ২০২৩ সালে প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে তিনি গ্রন্থটি প্রকাশে মনযোগী হন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *