ePaper

কোম্পানীগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় প্রবাসী মৃত্যুর অভিযোগে স্বজনদের বিক্ষোভ

মেছবাহ উদ্দিন (নোয়াখালী) কোম্পানীগঞ্জ

নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় এক প্রবাসী যুবকের মৃত্যুর অভিযোগে হাসপাতাল বন্ধ ও ডাক্তারের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে নিহতের স্বজনেরা। শুক্রবার রাতে নিহতের স্বজনেরা উপজেলার বসুরহাট বাজারে এ বিক্ষোভ মিছিল করে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা অভিযুক্ত ডাক্তারের গ্রেফতার ও হাসপাতাল বন্ধের দাবিতে বসুরহাট সেন্ট্রাল হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। নিহত শাহরিয়ার মাহমুদ আবির (২৮) উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সানাউল্যাহ বাহারের ছেলে এবং আবুধাবি প্রবাসী ছিলেন। নিহতের ছোট ইমতিয়াজ মাহমুদ ইমন জানান, গত পাঁচ বছর ধরে আমার বড় ভাই আবির আবুধাবিতে বাবার সঙ্গে ব্যবসা করত। গত তিন বছর আগে তিনি বিয়ে করেন। প্রতি বছর তিনি দেশে আসা যাওয়া করতেন। গত বৃহস্পতিবার ১০ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি আবুধাবি থেকে বাড়িতে আসেন। তাৎক্ষণিক তার হালকা ডায়রিয়া ও জ্বর দেখা দিলে আমি, আমার মা ও ভাবী তাকে নিয়ে উপজেলার বসুরহাট সেন্ট্রাল হাসপাতালে যাই। ওই সময় ডিউটি ডাক্তার বেলায়েত হোসেন মাহমুদ তার শরীরে একটি ইনজেকশন পুশ করে। এতে আমার ভাইয়ের চোখ-মুখ লাল হয়ে শরীরে জ্বালা পোড়া শুরু হয় এবং প্রেশার একবারে কমে যায়। পরে তার অবস্থা বেগতিক দেখে রাত ৮টার দিকে বসুরহাট সেন্ট্রাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে রেফার্ড করে দেয়। এরপর তাকে ফেনীর জেড ইউ হসপিটালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ঢাকার বারডেম হাসপাতালের চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ইমন আরও জানান, ইনজেকশনের প্রেসক্রিপশন দেখে ভুল ইনজেকশনে আমার ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। আমরা অভিযুক্ত ডাক্তারের বিচার ও হাসপাতাল বন্ধের দাবি জানাই। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজের বক্ষব্যাধি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বসুরহাট সেন্ট্রাল হাসপাতালের এমডি ডা.আ.ফ.ম আব্দুল হক অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, অভিযোগ যারা করেছে তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থাকলে কিছুই বুঝবে না। রোগীর বমি ছিল ও আগে থেকেই প্রেশার একেবারে ডাউন ছিল। তখন আমাদের ডিউটি ডাক্তার স্যালাইন, ইনজেকশন দিয়ে তাকে ভর্তি দেয়। পরবর্তীতে তিনি বললেন স্যার আসলে দেখবে। তিনি আরও বলেন, পরে আমাকে রোগীর ভর্তির বিষয়টি জানানো হয়। আমি রোগী দেখতে গেলে দেখি রোগীর প্রেশার একেবারে ডাউন, নেই বললেই চলে, অস্থিরতা করছে। অনেক সময় ডেঙ্গুর শক থেকেও এমনটা হতে পারে। যা মাথায়ও ইফেক্ট করতে পারে। রোগীর মামাও লোকাল ডাক্তার। রাত ৮টার দিকে রোগী একটু প্রেশার বাড়ে এবং স্ট্রেবল হলে রোগীর স্বজনেরা তাকে ফেনী নিয়ে যায়। কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, এ ঘটনায় এখনও কেউ থানায় অভিযোগ করে নাই। অভিযোগ দিলে তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *