রবিউল ইসলাম (সাতক্ষীরা) শ্যামনগর
শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের পশ্চিম কৈখালী গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে এক দরমুজ চাষীর আনুমানিক বার হাজার চরমুজের চারা উপড়ে চার লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করেছে। বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী ব্যক্তি শ্যামনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ ও সরজমিনে জানা যায়, শ্যামনগর উপজেলার পশ্চিম কৈখালী ইউনিয়নের হযরত গাইনের পুত্র মো. ওমর ফারুক ও হামিজুদ্দীন গাজীর পুত্র মো. রাশিদুল ইসলাম প্রতি বছর কৈখালী বিলে অন্যের জমি হারিতে নিয়ে তরমুজ চাষ করে। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও তারা ১০ বিঘা জমি হারি নিয়ে ধান ও দরমুজ চাষ শুরুকরে। পূর্ব শত্রুতার জেরে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে একই এলাকার মো. আবুল হোসেনের পুত্র মো. হাবিবুল্ল্যাহ, মো. হাবিবুল্ল্যার পুত্র মো. আলামিন হোসেন, মো. দাউদ সরদারের পুত্র মো. ফার“ক হোসেন তরমুজ ক্ষেতে প্রবেস করে আনুমানিক বার হাজার তরমুজের চারা গাছ উপড়ে ফেলে চার লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করে। ভুক্তোভোগী রাশিদুল ও ওমর ফারুক বলেন, হাবিবুল্ল্যাহ, আলামিন ও ফারুকের সাথে আমাদের পূর্ব শত্রুতা আছে। তারা প্রতিনিয়ত আমাদের ক্ষতি সাধন করে আসছে। আমরা বিভিন্ন এন, জিও এবং ব্যাংক হতে কয়েক লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে অন্যের জমি হারিতে নিয়ে তরমুজ চাষ করছি। তরমুজ চাষের উপরে আমাদের সংসার চলে, বাচ্চাদের লেখাপড়ার খরচ চলে। আমাদের এ ক্ষতি অপুরনীয়। প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক, মো. আবুল কাসেম সরদারের পুত্র মো. মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আমাদের কৈখালীর তরমুজ বাংলাদেশের ভিতরে বিখ্যাত। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার তরমুজ চাষ করে সংসার পরিচালনা করে। যারা এমন ধরনের কাজে জড়িত তাদের আইনের আওতায় নিয়ে কঠোর শাস্তি দাবী করেন তিনি। কৈখালী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুব খোকন বলেন, ঘটনাটি শোনার পরে ছুটে যাই। এমন ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার সঠিক তদন্ত পূর্বক দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছি। যাতে করে ভবিষ্যতে আর কেউ এমন ধরনের ক্ষতি সাধন বা কোন কৃষক ক্ষতিন সম্মুখিন না হয়। অভিযোগকারীরা বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পুন্ন মিথ্যা। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে। শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবির বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছিল। তদন্তপূর্বক প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে। শ্যামনগর উপজেলা সহকারী কমিশার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল রিফাত বলেন, আমরাও বিষয়টি শুনেছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় ঢাকায় আছেন। তিনি ফিরে আসলে বিষয়টি অবগত করে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করার চেষ্টা করা হবে।