ePaper

কুষ্টিয়ায় নিখোঁজের ৫ দিন পর মিলল শিশুর মরদেহ

আহসান বিশ্বাস, কুষ্টিয়া

নিখোঁজের পাঁচ দিন পর কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বালুভর্তি বস্তার নিচ থেকে শিহাব (১০) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার সকালের দিকে উপজেলার চরসাদিপুর ইউনিয়নের চর ঘোষপুর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত শিহাব কুমারখালী উপজেলার ঘোষপুর এলাকার রতন শেখের ছেলে। সে মা তাসলিমা খাতুনের সঙ্গে সরকারি আবাসন প্রকল্পের গুচ্ছগ্রামে থাকত। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় শিহাব। শিহাবের নানা আকাতুল্লাহ প্রামাণিক বলেন, শিহাব প্রতিদিন গরু নিয়ে মাঠে যেত। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে মাঠ থেকে গরু নিয়ে বাড়ি ফেরে। তখন বিছানার নিচ থেকে ৫০০ টাকা নিয়েছে কি-না জানতে চাইলে সে তা স্বীকার করে এবং জানায় ২০০ টাকা খরচ করে ফেলেছে। পরে বাকি ৩০০ টাকা নিয়ে সে বের হয়ে আর বাড়িতে ফেরেনি। তাকে বাড়ির অদূরে একটি মাঠে স্তূপ করা বালুর বস্তার নিচে চাপা দেওয়া অবস্থায় তার মরদেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। শিহাবের মা তাসলিমা খাতুন বলেন, বাড়ির পাশেই শিহাবের নানার বাড়ি। বেশির ভাগ সময় সেখানেই থাকত শিহাব। সেদিন বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর তারা ভেবেছিলেন ছেলেটি খালা কিংবা ফুপুর বাড়িতে গেছে। কিন্তু এক দিন পার হয়ে গেলেও না ফিরলে সব জায়গায় খুঁজেও তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি আরও বলেন, শিহাবের বাবা আমাদের ছেড়ে নিরুদ্দেশ হওয়ার পর অনেক কষ্টে ছেলেকে নিয়ে গুচ্ছগ্রামে বাস করি। স্থানীয় একটি ইটভাটায় রান্না করে যা পাই তাই দিয়ে কোনোরকম সংসার চলে। এখন আমি কাকে নিয়ে থাকব। এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ বলেন, পাঁচ দিন আগে শিহাব বাড়ি থেকে টাকা চুরি করে পালিয়েছিল। তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ দেয়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, বাড়ি থেকে পালিয়ে হয়তো বালুর বস্তার উপর ঘুমিয়েছিল। এ সময় দুর্ঘটনাবশত বস্তার নিচে চাপা পড়ে তার মৃত্যু হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *