সৌমিত্র সুমন,(পটুয়াখালী) পায়রা বন্দর
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় খাল খনন প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্পের নীতিমালা অনুযায়ী খাল খননের পর দুই পাশের পাড় উঁচু করে মাটি সুরক্ষার কথা থাকলেও, বাস্তবে তা মানা হচ্ছে না। বরং খনন করা মাটি অন্যত্র বিক্রি করে দিচ্ছে খনন কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট কতিপয় কর্মকর্তা ও ফাসিপাড়া নিবাসী আল-আমিন নামের এক ব্যক্তি, এমন অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পানি নিষ্কাশনের জন্য খালের দুই প্রান্ত পর্যাপ্ত প্রশস্ত রাখা বাধ্যতামূলক হলেও তা অনুসরণ করা হয়নি। এদিকে খালের মাঝখান কাটা হলেও আগা ও মাথায় সরু অংশ অক্ষত রয়ে গেছে, অর্থাৎ তৈরিকৃত বাড়িঘর বিদ্যমান রয়েছে, যা পানি চলাচলে বাধা সৃষ্টি করছে। এই বাড়িঘর অপসারণ করে খালের পানি নিষ্কাশন এর ব্যবস্থা না করলে দুর্যোগ আরো বেড়ে যাবে। এতে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসী বলেন, খাল খনন করতে হলে খালের সম্মুখভাগ অবশ্যই আগে খনন করতে হবে, অন্যথায় মাঝখান থেকে খাল খনন করলে তাতে কোন লাভ হবে না বরং কৃষকদের আরো ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। ফাসিপাড়া এলাকার মোশারফ হোসেন মোল্লা বলেন, খালটির সম্মুখভাগ না কেটে মাঝখান দিয়ে খাল কেটে উল্টো কৃষকদের সমস্যার সৃষ্টি করতেছে, এখানে কৃষকদের সুবিধার চেয়ে যারা খাল খনন করতেছে তাদের অর্থনৈতিক স্বার্থই বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কারণ কৃষকদের স্বার্থে হলে নিশ্চয়ই প্রথমে খালের সম্মুখভাগ খনন করা দরকার ছিল, এখানে হয়েছে উল্টোটা। বিভিন্ন অভিযোগে জানা গেছে, খনন কাজের মান নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত তদারকি নেই। খাল খননের উদ্দেশ্য ছিল জলাবদ্ধতা নিরসন ও কৃষিকাজে সুবিধা বৃদ্ধি। কিন্তু অনিয়মের কারণে প্রকল্পের মূল লক্ষ্য ব্যাহত হতে বসেছে। স্থানীয়রা বলছেন, এভাবে কাজ চলতে থাকলে প্রকল্প শেষ হলেও সমস্যার সমাধান হবে না, বরং সরকারি অর্থের অপচয় ঘটবে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে স্থানীয়রা দ্রুত তদন্ত ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। তারা সুষ্ঠু বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে কঠোর তদারকি এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। খাল খননের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন পটুয়াখালীর সহকারী প্রকৌশলী মো. ইয়াকুব আলী বলেন, এই অর্থবছরে এক কিলোমিটার খনন করার বরাদ্দ হয়েছে, পরবর্তী বরাদ্দে বাকিটুকু করা হবে।