ePaper

কুমিল্লা বিভাগ ঘোষণা ও ঢাকার সঙ্গে রেললাইন স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন

কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লা বিভাগ ঘোষণা ও ঢাকা-কুমিল্লা রেললাইন স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ‘কুমিল্লা বাঁচাও মঞ্চ’ নামের একটি সংগঠন। রোববার বিকালে কুমিল্লা নগরের কান্দিরপাড় টাউন হল ফটকে কয়েক শ স্থানীয় বাসিন্দা ওই মানববন্ধনের যোগদান করেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা বাঁচাও মঞ্চের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কুমিল্লার আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর অতিরিক্ত পিপি আব্দুল মোতালেব মজুমদার, কুমিল্লা বাঁচাও মঞ্চের কুমিল্লা মহানগরের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হাজি সিদ্দিকুর রহমান, মহানগরের সদস্যসচিব মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল চৌধুরী, কুমিল্লা বাঁচাও মঞ্চের নেতা অ্যাডভোকেট আক্তার হোসেন, মুহাম্মদ হানিফ, সোহেল মজুমদার, খলিলুর রহমান মজুমদার, সোহাগ মজুমদার, ওমর ফারুক চৌধুরী সুমন, নুরুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, মোস্তফা কামাল ও স্বপন মজুমদার প্রমুখ। বক্তব্যে কুমিল্লা বাঁচাও মঞ্চের নেতা অ্যাডভোকেট আক্তার হোসেন বলেন, ‘কুমিল্লায় কীসের অভাব? আমরা শিক্ষা-সংস্কৃতি ও অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে। দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই শহরে কোনও কিছুর অভাব না থাকলেও এটিকে বিভাগ ঘোষণা করা হচ্ছে না। বিভাগের দাবিতে আমরা দীর্ঘদিন আন্দোলন করছি। কিন্তু কোনও সুরাহা হচ্ছে না। এবার আমরা ঢাকায় যাবো। সচিবালয়ের সামনে আন্দোলন করবো। কুমিল্লা নামে বিভাগ ঘোষণা করতে হবে। এটি কুমিল্লার মানুষের প্রাণের দাবি।’ এ সময় তিনি বলেন, ‘ঢাকা-কুমিল্লা রেললাইনের দাবি দীর্ঘদিনের। আমাদের নেতা মনিরুল হক চৌধুরী কুমিল্লার মানুষের সঙ্গে একত্রিত হয়ে দীর্ঘদিন দেশের উচ্চপর্যায়ে বলে আসছেন। কিন্তু এখনও সেই দাবির অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। আমরা স্পষ্ট বলে দিতে চাই, যদি দ্রুতই এ দাবি বাস্তবায়নের কাজ না করা হয় তাহলে আমরা কঠোর থেকে কঠোরতম আন্দোলনের ডাক দেবো।’ এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা বাঁচাও মঞ্চের কুমিল্লা মহানগরের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হাজি সিদ্দিকুর রহমান। বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘কুমিল্লার মানুষের প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর মনিরুল হক চৌধুরী। কুমিল্লাকে সুন্দর ও উন্নত সিটি করতে তিনি জীবনের অধিকাংশ সময় ব্যয় করছেন। আমরা কুমিল্লা বাঁচাও মঞ্চের সকল দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই। নাহলে কুমিল্লার মানুষকে আন্দোলন থেকে আটকানো যাবে না।’ মানববন্ধনে শতাধিক নারী ও শিক্ষার্থী যুক্ত হয়। এ সময় তারা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *