কিশোরগঞ্জ আদালত ভবনে গ্রাম আদালত ব্যবস্থা সক্রিয়করণ সংক্রান্ত মতবিনিময়

আমিনুল হক সাদী, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জ জেলা জজ আদালত, কিশোরগঞ্জ-এর আয়োজনে গ্রাম আদালত ব্যবস্থা সক্রিয়করণ সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার জেলা জজ আদালত, সম্মেলন কক্ষে, আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন মুহাম্মদ নূরুল আমীন বিপ্লব, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ, কিশোরগঞ্জ। সভায় অংশগ্রহণ করেন কিশোরগঞ্জ জেলার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাগণ, স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও ২০ জন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানগণ। সভায়গ্রাম আদালত ব্যবস্থা সক্রিয়করণ সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন আজকের এই মতাবিনিময় সভা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের মধ্যে বিচার বিভাগ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ। বাংলাদেশে প্রায় ১৭ কোটি মানুষের জন্য যে বিচারিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে তা খুবই অপ্রতুল। সমাজে অনানুষ্ঠানিক বিচার ব্যবস্থা দীর্ঘদিন থেকে চালু রয়েছে। তাই গ্রামীণ বিচার ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী করতে গ্রাম আদালত ব্যবস্থাকে আরো সক্রিয় করতে হবে। রিসোর্স পার্সন হিসাবে বক্তব্য রাখেন, আল-মামুন, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ইমরানুল ইসলাম, নাসিমা তালুকদার মুনমুন প্রমুখ। প্রশিক্ষণ আয়োজন ও পরিচালনায় সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন হাফিজা আক্তার, ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার, গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্প, কিশোরগঞ্জ এবং উপজেলা সমন্বয়কারীগণ।

গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্প (৩য় পর্যায়) কন্সাল্টেন্ট মোস্তফা কামাল বলেন, ইউএনডিপি বাংলাদেশ পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন এর মাধ্যমে প্রকল্পের উদ্দেশ্য, সভার উদ্দেশ্য, মামলার তথ্য, কিশোরগঞ্জ জেলার কার্যক্রমের অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ সমূহ উপস্থাপন করেন। গ্রাম আদালতে দায়েরকৃত ১৫৫৫ টি মামলা এবং উচ্চ আদালত থেকে প্রেরিত মামলা ৩৯ টি, মোট ১৫৯৪ টি মামলার মধ্যে ১৪৯৭ টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে এবং ৯৭ টি মামলা পেন্ডিং রয়েছে।

উন্মুক্ত আলোচনায় ইউপি চেয়ারম্যানগণ প্রশ্নোত্তর পর্বের মাধ্যমে সমস্যাগুলো তুলে ধরেন এবং পর্যালোচনার মাধ্যমে বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা লাভ করা হয়। নোয়াবাদ, দেহুন্দা, লতিবাবাদ ও মুমুরদিয়া ইউপি চেয়ারম্যানগণ বলেন-পর্যাপ্ত পরিমানে ফরম ও রেজিষ্টার প্রদান করতে হবে, গ্রাম আদালত পরিচালনার জন্য সহকারী প্রয়োজন, অনেক সময় নোটিশ পাবার পরও পক্ষগণ উপস্থিত হতে চায় না এ বিষয়ে সহযোগিতা কামনা করেন, ইউপি চেয়ারম্যানদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। এখতিয়ার ৩ লক্ষ্য টাকা থেকে আরো পরিমান বাড়ানো। বাদী যদি আইনজীবি হয় তাহলে বিবাদীর পক্ষে কোন আইনজীবি মামলা নিতে চায় না। উপরোক্ত বিষয়গুলো নিয়ে বিশদ আলোচনার মাধ্যমে প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *