আমিনুল হক সাদী, কিশোরগঞ্জ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রায় ২০ বছর পর খোলা ময়দানে প্রকাশ্যে আয়োজিত সম্মেলনে অসংখ্য কর্মীর জমায়েত দেখা গেছে। গতকাল শনিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে কিশোরগঞ্জ পুরাতন স্টেডিয়ামে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফজরের নামাযের পর থেকে জেলার ১৩টি উপজেলা থেকে কর্মীরা সম্মেলনে আসতে থাকে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে পুরো মাঠ ভরে যায়। এতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও কিশোরগঞ্জ জেলা আমীর অধ্যাপক রমজান আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও প্রচার সেক্রেটারি, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও ময়মনসিংহ অঞ্চল পরিচালক ড. মাওলানা মো. ছামিউল হক ফারুকী, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মাওলানা নাজমুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ডা. কর্নেল (অব.) জেহাদ খান, জেলা জামায়াতের সাবেক নায়েবে আমির মোসাদ্দেক আলী ভূঁইয়া, ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের মজলিসে শুরা সদস্য অ্যাডভোকেট মো. রোকন রেজা শেখ, জেলা জামায়াতের প্রচার সেক্রেটারি শামসুল আলম সেলিম, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি খালেদ হাসান জুম্মন, সদর জামায়াতে ইসলামী আমির কারী নজরুল ইসলাম, জামাতের শহর শাখার আমির, আ ম ম আব্দুল হক, জেলা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি হাসান আল মামুনসহ জেলা উপজেলার অসংখ্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় বক্তারা বলেন, বিগত ১৭ বছর আওয়ামী লীগের গুম-হত্যা ও নির্যাতনের কারণে দলটি প্রকাশ্য কোনো সভা-সমাবেশ করতে পারেনি। এ সময়ে গোপনেই সংগঠনের কাজ এগিয়ে নিতে হয়েছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার বিতাড়িত হওয়ার পর দেশে এখন একটা স্থিতিশীল নিরাপদ পরিবেশ বিরাজ করছে। এতে ১৭ বছর পর কিশোরগঞ্জে জামায়াতের প্রকাশ্যে কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। জামায়াতে ইসলামীর কিশোরগঞ্জ জেলা আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য অধ্যাপক রমজান আলী বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার আমাদের সমাবেশ তো দূরের কথা, একটি সভাও করতে দেয়নি। নানা নাটক সাজিয়ে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে। নির্যাতন করেছে। ২০ বছর পর আমরা এমন সম্মেলন আয়োজন করতে পারছি। এতে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। সম্মেলনে জেলা ও উপজেলা থেকে লক্ষাধিক নেতাকর্মী এসেছেন। কেন্দ্রীয় নেতারা দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।