রিজিয়া সরকার, গঙ্গাচড়া :
কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির কারণে রংপুরের গঙ্গাচড়ার দ্বিতীয় তিস্তা সেতুর সংযোগ সড়কের বিভিন্ন স্থানে ধস দেখা দিয়েছে। এতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ছোট-বড় যানসহ পথচারীরা। গঙ্গাচড়া উপজেলা এলজিএডি অফিস ধসে যাওয়া স্থানগুলোতে মাটি ফেলানোর কথা জানালেও সরজমিনে তা দেখা যায়নি। তাই যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। জানা যায়, রংপুর অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক রংপুর-দ্বিতীয় তিস্তা সেতু-কাকিনা সড়ক। এ সড়কটি রংপুরের বুড়িরহাট-কাকিনা-পাটগ্রাম- হাতীবান্ধা-তুষভান্ডার হয়ে বুড়িমারী স্থলবন্দরে গিয়ে শেষ হয়েছে। সড়কটি দিয়ে লালমনিরহাট থেকে রংপুর শহরে চিকিৎসাসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে আসা-যাওয়া করে ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ। গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রংপুর নগরীর বুড়িরহাট থেকে লালমনিরহাটের কাকিনা বাজার পযর্ন্ত সড়কটির একাধিক স্থানে ধস দেখা দিয়েছে। সেতু এলাকার বাসিন্দা সাবেক ইউপি সদস্য মোন্নাফ মিয়া প্রতিবেদককে বলেন, ‘ গত কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণে সড়কটি বিভিন্ন স্থানে বড় বড় ধসের সৃষ্টি হয়েছে। এসব ধসে যাওয়া স্থানের এখনেই মেরামত করা না হলে আরও অনেক ভাঙনের সৃষ্টি হবে এতে সড়কটিও ভেঙে যাবে। কথা হয় লালমনিরহাটের ‘দই খাওয়া’ থেকে রংপুর নগরীতে রোগী নিয়ে আসা সুরেশ চন্দ্র নামের এক অ্যাম্বুলেন্স চালকের সাথে তিনি জানান, ‘কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টির কারণে এসব ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এসব ভাঙনের ফলে ভালো করে গাড়ী চালানো যাচ্ছে না। গাড়িতে জরুরি রোগী থাকলেও গাড়ি ধীর গতিতে চালাতে হচ্ছে। এসময় কথা হয় ভ্যান চালক মজিবর রহমান তিনি বলেন, ‘সড়কটির পারগুলোতে যেভাবে গর্ত হয়েছে, রাস্তার খোয়া বের হয়ে গেছে। আর দু একদিন বড় ধরনের বৃষ্টি হলে সড়কটি একবারে ধসে যাবে। আমরা মাল ভর্তি ভ্যান নিয়ে খুব সাবধানে যাচ্ছি। গাড়ী একটু কাচারে নামলেই ডেঙ্গে যাবে তাই সাবধানে যেতে হচ্ছে। লক্ষ্মীটারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী জানান, ‘ এটি একটি ব্যস্ততম সড়ক, এই সড়কটি দিয়ে প্রতিনিয়ত ছোট বড় কয়েক হাজার গাড়ি চলাচল করে। এখনেই যদি ধসে যাওয়া স্থানটিতে কাজ করা না হয় তাহলে আর দুই একদিন বৃষ্টি হলে পুরো সড়কটি ভেঙে চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। এ বিষয়ে গঙ্গাচড়া উপজেলা প্রকৌশলী মজিদুল ইসলাম বলেনূ‘ধসে যাওয়া স্থানটিতে কয়েক জন নারী শ্রমিক দারা মাটি ভাড়াটের কাজ চলছে।