জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) চেয়ারম্যান আবদুল হাই সরকার বলেছেন, করদাতা ও রাজস্ব সংগ্রহকারীদের মধ্যে যে দূরত্ব রয়েছে, তা কমানো গেলে কর ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও দক্ষতা আসবে। কর ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে করদাতা-সংগ্রাহকের দূরত্ব কমানো জরুরি। শনিবার বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) আয়োজিত ‘কাস্টমস ও ভ্যাট সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধির প্রায়োগিক দিক’ শীর্ষক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এসব কথা বলেন তিনি। বিসিআই বোর্ডরুমে আয়োজিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিসিআই সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ)। কর্মশালায় বিভিন্ন খাতের ৩০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় আলোচক ও প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রথম সচিব (কাস্টমস) তারেক হাসান এবং দ্বিতীয় সচিব (ভ্যাট নীতি) ব্যারিস্টার মো. বদরুজ্জামান মুন্সী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিসিআই পরিচালক ড. দেলোয়ার হোসেন রাজা ও সেক্রেটারি জেনারেল ড. মো. হেলাল উদ্দিন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবদুল হাই সরকার বলেন, করদাতা ও রাজস্ব সংগ্রহকারীদের মধ্যে এক ধরনের দূরত্ব রয়েছে, যা কমাতে পারলে কর ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও দক্ষতা আসবে। ব্যবসায়িক বাস্তবতার আলোকে এনবিআর ইস্যুগুলো তুলে ধরা এবং অ্যাসেসমেন্ট প্রক্রিয়ায় অভিজ্ঞ পেশাজীবীদের সম্পৃক্ত করা সময়ের দাবি। পাশাপাশি, যে কোনো নীতিমালা তৈরিতে বেসরকারি খাতের সক্রিয় অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উদ্বোধনী বক্তব্যে বিসিআই সভাপতি বলেন, শিল্পায়ন, বৈদেশিক বাণিজ্য এবং ব্যবসা-বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট আইন ও নীতিমালা বিষয়ে বিসিআই নিয়মিতভাবে প্রশিক্ষণ ও ওরিয়েন্টেশন কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে। কাস্টমস ও ভ্যাট বিষয়ে সঠিক ধারণা না থাকায় অনেক ব্যবসায়ী প্রায়ই জটিলতার সম্মুখীন হন। এই কর্মশালার মাধ্যমে সে ঘাটতি কিছুটা হলেও পূরণ হবে। কর্মশালার দ্বিতীয় পর্বে প্রশিক্ষকরা কাস্টমস এবং ভ্যাট সংক্রান্ত বিভিন্ন আইনি ও নীতিগত দিক নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন এবং অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
বিসিআইয়ের সেক্রেটারি জেনারেল ড. মো. হেলাল উদ্দিন আলোচক ও অংশগ্রহণকারীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতেও বিসিআইয়ের কার্যক্রমে যুক্ত থাকার আহ্বান জানান।
