ePaper

কমিটি নিয়ে বিরোধে মাদারীপুর বড় মসজিদের খতিবকে মারধর

মাদারীপুর প্রতিনিধি

মাদারীপুর বড় মসজিদে নবগঠিত কমিটি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। সেসময় মসজিদের খতিব যুবায়ের হাসান কাসেমীকে মারধর করা হয়। যুবদল, ছাত্রদল ও বিএনপির তিন নেতার নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে কমিটির লোকজন দাবি করে। পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও কমিটি সূত্রে জানা গেছে, ২৮ মার্চ শুক্রবার সন্ধ্যায় বড় মসজিদের কমিটি ঘোষণা করা হয়। সেই কমিটিতে মুসল্লী ও মাওলানাদের না রেখে স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং আওয়ামীপন্থীদের রাখা হয়েছে বলে অনেকে অভিযোগ তোলেন। এ নিয়েই বিবাদ শুরু হয়। গতকাল শুক্রবার জুম্মার নামাজে খতিব যুবায়ের হাসান কাসেমী খুৎবা দিচ্ছিলেন। খুৎবা পড়ার শেষ মূহুর্তে মসজিদে উপস্থিত বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও মসজিদ কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি সোহরাব হোসেন হাওলাদার, যুবদলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান ফকু, জেলা ছাত্রদলের সচিব কামরুল ও সাবেক খতিবের ছেলে এনায়েত উল্লাহ’র নেতৃত্বে খুৎবার মেমবার থেকে টেনে হিচড়ে নামানোর চেষ্টা করেন। এতে মসজিদে উপস্থিত মুসল্লীরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। এ নিয়ে দুটি পক্ষ হয়ে যায় এবং তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। সেসময় খতিব যুবায়ের হাসান কাসেমীকে কিল ঘুষি মারা হয় এবং তার পাগড়ি ও পাঞ্জাবি ছিড়ে ফেলা হয়। পরবর্তীতে মুসল্লীরা ও পুলিশ তাকে উদ্ধার করে মসজিদ থেকে নিরাপদে বাড়িতে পৌছে দেন। পরিস্থিতি শান্ত হলে পুরান বাজার সংলগ্ন কাঠপট্টি গদী মসজিদের সাবেক ইমাম মাওলানা নুরুল ইসলাম জুম্মার নামাজে ইমামতি করেন। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও মসজিদ কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি সোহরাব হোসেন হাওলাদার বলেন, আমি আগেও মসজিদ কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলাম। বর্তমান নতুন কমিটিরও সিনিয়ন সহ-সভাপতি হয়েছি। খতিব যুবায়ের হাসান কাসেমী যে কমিটি করেছে তা নিয়ে বিতর্ক ছিল। সেই কমিটি স্থগিত করে নতুন করে কমিটি করার কথা এবং এই শুক্রবার তাকে মসজিদে আসতে নিষেধ করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি মসজিদে এসেছেন এবং খুৎবা দিয়েছেন। সেসময় মসজিদে হট্টগোল শুরু হয়। আমি তখন খতিবকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছি। আমি তাকে হামলা করিনি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেয়া হচ্ছে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আদিল হাসান জানান, মসজিদে কমিটি নিয়ে বিরোধ ছিল। সেই বিরোধকে কেন্দ্র করে মসজিদে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। আমরা খতিব যুবায়ের হাসান কাসেমীকে হট্টগোলের মধ্য থেকে উদ্ধার করে নিরাপদে বাড়িতে পৌছে দিয়েছি। পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *