এলজিইডির পাবনার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মমিন সমাজির খুঁটির জোড় কোথায়?

শারিফা আলম শিমু, পাবনা:

সীমাহীন দূর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, সরকারী সম্পদের অপব্যবহার, কর্তব্য কাজে ফাঁকি ও দীর্ঘদিন হেডকোয়টার ক্যাম্পসে অবস্থান না করেও বহালতবিয়তে সরকারী বেতন-ভাতা নিয়ে যাচ্ছেন পাবনা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলঅধিদফতরের চলতি দ্বায়িত্বে কর্মরত মমিন মুজিবুল হক সমাজি। তারবিরুদ্বে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিরোধীতাসহ অগনিত দূর্নীতিরঅভিযোগ রয়েছে। রয়েছে জ্ঞাত বর্হিভুত অর্থের পাহাড়। বিদেশে ভাইয়েরকাছে পাচার করেছে কোটি কোটি টাকা। অবসরের পর বিশ পাড়িজমানোর সকল প্রস্তুতিও সেরে ফেলেছেন এরই মধ্যেই। অনুসন্ধানে জানা যায়, তার বাবা ১৯৭২ সালের সংসদ নির্বাচনে ভুয়াভোটে এমপি নির্বাচিত হয় পাবনা-৩ আসন থেকে। হাসিনার বাবারসময়ের এমপি ছেলে হিসেবে শেখ হাসিনার প্রিয় ভাজন হয়ে উঠে মমিন। সেই সুবাদে এলজিইডির বড় বড় প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকের পদ বাগিয়ে নেনতিনি। অবৈধ ভাবে হাতিয়ে নেন কোটি কোটি টাকা। ঢাকারধানমন্ডিতে তৈরী করেন বাড়ী। নিজের নামে বে-নামে খরিদ করেন বিলাস বহুলনটি প্রাইভেট গাড়ী। অষ্ট্রেলিয়ায় ভাইয়ের কাছে পাচার করে কোটিকোটি টাকা। প্রকল্পে লোক নিয়োগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেনমিন। শেখ হাসিনার ভয়ে তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায়নি তদানিন্তননীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের কোন কর্নধার।  বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কিছুদিন আগে প্রকল্প পরিচালকের পদ হারালে তার নিজ জেলা পাবনায় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর চলতি দ্বায়িত্ব পদ ক্ষমতার দাপটে বাগিয়ে নেন তিনি। সে সুবাদে ১৩ জুন-২০২৪ পাবনা এলজিইডির তত্তাবধায়ক প্রকৌশলী পদে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে তিনি হেড কোয়াটার ক্যাম্পাসে বসবাস না করে তার নিজ বাড়ী চাটমোহর উপজেলাতেই বসবাস করেন। কিন্তু প্রতি মাসে সরকারী বাসা ভাড়া বাবদ ৩৯ হাজার ৯২৫ টাকা বাড়ী ভাড়া উত্তোলন করেন। দাফতরিক কাজে অফিস থেকে তার কর্মচারী গিয়ে চাটমোহর থেকে ফাইলপত্র স্বাক্ষর করিয়ে আনেন। জুলাই ছাত্র আন্দোলনের সময় মমিন মুজিবুল হক চাটমোহরের আওয়ামী সমর্থিত লোক জন নিয়ে ছাত্র আন্দোলনের রিরুদ্ধে চরম জনমত গড়ে তোলা ছাড়াও ছাত্রদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে চাটমোহর উপজেলা থেকে সিংহ ভাগ ছাত্রকে আন্দোলনে শরিক হতে দেন নাই।  চাটমোহর এলাকার একাধিক সুত্রে জানা যায়, ৫ আগষ্টের পর তিনি আত্মগোপেেন চলে যান। অফিস ফাকি দিয়ে প্রায় তিন মাস আত্মগোনে থাকার পর চাটমোহরের পাতি বিএনপি নেতাদের টাকা পয়সা দিয়ে এলাকাতে আসতে শুরু করেন। এর পর থেকে আবার বর্তমান সরকারের সমালোচনা ও সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া শুরু করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *