মো. আজিজার রহমান, (দিনাজপুর) খানসামা
দিনাজপুরের খানসামায় এক রশিতে মা ও মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে উপজেলার আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নের আরাজী যুগিরঘোপা গ্রামের বেনুপাড়া থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত সুজাতা রানী রায় (২৪) ওই গ্রামের ভক্ত রায়ের স্ত্রী এবং তার মেয়ে নীলাদ্রি রানী রায় (৬)। জানা যায়, ২০১৮ সালে পার্শ্ববর্তী পার্বতীপুর উপজেলার বিলাইচন্ডী ইউনিয়নের বাঘাচড়া গ্রামের ঝাউপাড়ার অমিত্য রায়ের মেয়ের সাথে প্রস্তাবের মাধ্যমে পারিবারিকভাবেই বিয়ে ভক্ত রায়ের সাথে। ভক্ত রায় পেশায় একদিন দর্জি। নিহত সুজাতা রায় পাকেরহাট সরকারি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের বাংলা বিভাগের ছাত্রী। পরিবার সূত্রে জানা যায়, সুজাতা প্রতিদিন সন্ধ্যা বাতি দিয়ে থাকে। কিন্তু বুধবার সন্ধ্যা বাতি না দেওয়ায় তার জা চন্দনা তাকে তার শয়ন কক্ষে ডাকতে যায়। ডাকতে গিয়ে দরজা বন্ধ পায়। এরপর দরজায় সজরে ধাক্কা দিলে ঘর অন্ধকার দেখতে পায়। আলো জ্বালিয়ে দেখে তাদের ঝুলন্ত অবস্থায় আছে। এরপর চিৎকার করলে পরিবারসহ প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে। নিহত মেয়ের পরিবারের দাবি, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তারা হত্যা করে নাটক সাজিয়েছে বলে জানান। তবে শশুরবাড়ির লোকজন আত্মহত্যায় মৃত্যুর কথা বলছেন। এছাড়াও নিহতের শয়নকক্ষে একটি চিঠি পাওয়া গেছে সেখানে লেখা ছিল, ‘আমার মৃত্যুতে কেউ দায়ী নয়’। তবে দুই পৃষ্ঠার এই চিঠির হাতের লেখা নিহতের কি না সেটা পরীক্ষা-নিরিক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন খানসামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজমূল হক। তিনি বলেন, শয়ন ঘরের ডাপের সাথে রশি দ্বারা গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় মা ও মেয়েকে পাওয়া যায়। লাশ দুটির সুরতহাল প্রতিবেদন করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ জিন্নাহ আল মামুন বলেন, ‘আমরা সুরতহাল রিপোর্ট করেছি। আমরা আরও তদন্ত করব। তদন্ত করে এটি আমাদের বিশেষজ্ঞ মতামতেরও প্রয়োজন রয়েছে। বিশেষজ্ঞের মতামত পেলে আমরা এ ঘটনার রহস্য আপনাদের সামনে তুলে ধরব।’