ePaper

উত্তরের মহাসড়কে বাড়ছে গাড়ির চাপ-নেই যানজট

রফিকুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ

পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপনের জন্য ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার কর্মস্থল থেকে ঘরে ফিরতে শুরু করেছে উত্তরাঞ্চলের মানুষ। ঘরমুখো মানুষের চাপে উত্তরবঙ্গের গেটওয়ে সিরাজগঞ্জে বাড়ছে যানবাহনের চাপ। শুক্রবার সকাল থেকেই ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী লেনে যানবাহনের পরিমাণ ক্রমশই বাড়তে দেখা যায়। যমুনা সেতু পশ্চিম মহাসড়কের কড্ডার মোড়, ঝাঐল ওভার ব্রিজ, নলকা ও হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় দেখা যায় বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসে করে হাজার হাজার মানুষ ঘরে ফিরছে। সেই সঙ্গে ট্রাক, পিকআপভ্যান যোগে আসছে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। এছাড়া পরিবারসহ মোটরসাইকেলেও ঘরে ফিরছে অনেক মানুষ। বাড়তি যানবাহন চলাচল করায় ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী লেনে প্রচুর চাপ রয়েছে। তবে কোথাও কোনো যানজট বা দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়নি। পুলিশ ও যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, উত্তরাঞ্চলের গেটওয়ে সিরাজগঞ্জ। এ জেলার ওপর দিয়ে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের আট জেলা ছাড়াও খুলনা বিভাগের বেশ কয়েকটি জেলার গাড়ি চলাচল করে। দেশের প্রায় এক তৃতীয়াংশ মানুষের ঢাকায় যাতায়াতের পথ যমুনা সেতু পশ্চিম সড়ক। সিরাজগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদ বলেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ঘরমুখো মানুষ ফিরতে শুরু করেছে। এ কারণে এ মহাসড়কে যানবাহনের চাপ ক্রমশই বাড়ছে। তবে এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো যানজটের সৃষ্টি হয়নি। যমুনা সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনারুল ইসলাম বলেন, গাড়ির চাপ বাড়তে থাকলেও এখন পর্যন্ত যমুনা সেতুর পশ্চিমপাড়ে কোথাও কোনো যানজট নেই। সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মো. জিয়াউর রহমান বলেন, উত্তরবঙ্গের গেটওয়ে সিরাজগঞ্জের সব রুটের নিরাপত্তায় জেলা পুলিশের ৬৪৮ জন সদস্য নিয়োজিত রয়েছে। পোশাকধারী পুলিশ ছাড়া সাদা পোশাকেও পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছে। হাইওয়ে পুলিশ সুপার (বগুড়া রিজিওন) মো. শহিদ উল্লাহ বলেন, এখন পর্যন্ত মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। মানুষ নির্বিঘ্নে ঘরে ফিরছে। ঘরমুখো মানুষের নিরাপত্তায় হাইওয়ে পুলিশের ৩২২ জন ও এপিবিএনের ১০০ সদস্য নিয়োজিত রয়েছে। যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আহসানুল কবির পাভেল বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সেতুর ওপর দিয়ে ৩৫ হাজার ২২৭টি যানবাহন চলাচল করেছে। যা স্বাভাবিকের তুলণায় দিগুণ। টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৬৫ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *