নিজস্ব প্রতিদবেদক: আসন্ন ঈদ উপলক্ষে জেলার শিশু বিনোদন কেন্দ্রগুলো সাজানো হচ্ছে নতুন সাজে। বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে আনা হচ্ছে আধুনিকতার ছোঁয়া। চলছে ফটোসেশন ব্যাকগ্রাউন্ড স্টেজের কাজ, ধোয়া-মোছা ও রং-তুলির আঁচড়। বরিশাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা যায়, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জেলার ১২টি পার্ক ও শিশু বিনোদন কেন্দ্রকে নতুন করে সাজাতে কাজ করছে বরিশাল জেলা প্রশাসন ও সিটি কর্পোরেশন। ঈদ আনন্দ উৎযাপনে শিশুসহ পরিবারের প্রতিটি সদস্যকে প্রাণবন্ত বিনোদন দিতে পার্কগুলোতে আধুনিকতার ছোঁয়া আনা হচ্ছে। জানা যায়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশার ঐতিহ্যবাহী দূর্গা সাগর দিঘী ও সংলগ্ন পার্কের সৌন্দর্য্য বর্ধনে কাজ করা হচ্ছে ।
অন্যদিকে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি)-এর তত্ত্বাবধানে নগরীর আমানতগঞ্জ শিশু পার্ক, গ্রীন সিটি পার্ক, বান্ধ রোড মুক্তিযোদ্ধা পার্ক, বেলস পার্ক, ৩০ গোডাউন বধ্যভূমি এবং শহীদ শুক্কুর-গফুর পার্ক-এর সৌন্দর্য্য বর্ধনে কাজ করা হচ্ছে। এছাড়াও বাণিজ্যিকভাবে পরিচালিত বেসরকারি শিশু বিনোদন কেন্দ্র নগরীর বান্ধ রোড প্লানেট ওয়ার্ল্ড শিশু পার্ক, কড়াপুর নিসর্গ এন্টারটেইনমেন্ট জোন, কির্তনখোলা নদী সংলগ্ন অ্যাডামস এডেন রির্সোর্ট, গৌরনদী উপজেলার শাহী ৯৯ পার্কগুলোতেও চলছে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ। ঈদের কেনাকাটা করতে আসা বেগম মুকুল আক্তার বাসস’কে বলেন, বরিশাল নগরী ও জেলার বিভিন্ন উপজেলার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ঈদের দিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত শিশু থেকে সব বয়সী মানুষের ঢল নামে। বিশেষ করে শিশুদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে বিনোদন কেন্দ্রগুলো। তাই ঈদ সামনে রেখে পার্কের এসব আয়োজন দেখে ভালো লাগছে। আমিও অবসরে বাচ্চাদের নিয়ে পার্কে বেড়াতে নিয়ে যাই। প্লানেট ওয়ার্ল্ড শিশু পার্ক-এর তত্ত্বাবধায়ক সোহরাব হোসেন বলেন, আসন্ন ঈদ উপলক্ষে প্লানেট ওয়ার্ল্ড শিশু পার্ক কর্তৃপক্ষ প্রতি বছরের মত এ বছরও পার্কটির ধোয়া-মোছা ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করছে। পাশাপাশি সাউন্ড সিস্টেম, আধুনিক লেজার লাইট প্রতিস্থাপন ও ফটো-সেশনের জন্য ব্যাকগ্রাউন্ড স্টেজের কাজ করছে। কোমলমতি শিশুদের কাছে পার্কটির সৌন্দর্য্য তুলে ধরতেই এই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পার্ক কর্তৃপক্ষ।জেলা নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সভাপতি শামীমা আকবর এ প্রসঙ্গে বাসস’কে বলেন, ‘শিশু যেমন তার নানা বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ঘটায় খেলা বা বিনোদনের মাধ্যমে, তেমনি খেলাধুলার মধ্য দিয়ে তার সামাজিকতা বৃদ্ধি ও শরীর গঠন হয়। তাই শিশুদের মানসিক বিকাশে বিনোদন কেন্দ্রের প্রয়োজন রয়েছে। শিশুদের পাশাপাশি অবিভাবকরাও অবসর সময় কাটাতে পারেন এই পার্কগুলোতে।’