ইয়াকুব নবী ইমনম, নোয়াখালী
পবিত্র ঈদুল ফিতরের ৪র্থ দিনেও নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর গ্রীণ পার্কে বিনোদন প্রেমিদের ভিড়। ঢাকা-চট্টগ্রামের বিভিন্ন পার্কের আদলে নির্মিত পার্কটি এ এলাকার মানুষের অল্প খরচে বিশেষ করে শিশু কিশোরদের মানসিক, শারিরীক বিকাশে ও আনন্দ বিনোদনের একমাত্র অবলম্বন। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সোনাইমুড়ী উপজেলার বারোগাঁও ইউনিয়নের কাশীপুর বাজার সংলগ্ন এলাকায় বিশাল জায়গা জুগে পার্কটি নির্মিত হয়েছে। ঈদের বাইরেও প্রতিদিন নানা বয়সী শিশু কিশোররাসহ তাদের অভিবাবকরা আসেন এ পার্কে। এছাড়া নানা বয়সি মানুষ অবসর সময়ে এ পার্কে আসেন বেড়ানোর জন্য। ঢাকা-চট্রগ্রামের বিভিন্ন নামী দামি বিনোদন পার্কের আদলেও এ গ্রীণ পার্ক তৈরী করা হয়েছে। এখানে েেরয়ছে ডিসকভার. ড্রপ টাওয়ার, ম্যারি গো রাউন্ড, টু-স্টার, ওয়াটার বোট, নাগর দোলা, বাম্পার কার, হানি সুইং চেয়ার, স্লিাপার ও ম্যাজিক বোট। নোয়াখালীতে এটি সবচেয়ে বড় বিনোদন পার্ক। স্বল্প মুল্যে শিশুদের নিয়ে এ পার্কে বিনোদন নিতে পারায় খুশী অভিভাবকরা। আর শিশুরাও পার্কে এসে নানা রকমের রাইডারে উঠতে পেরে ও দেখে খুব খুশী। শুধু নোয়াখালী নয়, বৃহত্তর নোয়াখালীর ফেনী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার বিনোদন প্রেমী পার্কটিতে ঘুতে আসেন। শিশু কিশোরদের জন্য এ পার্কে বসানো হচ্ছে নতুন নতুন আরো বেশ কয়েকটি রাইডার। শিশু ও অভিভাবকদের বিনোদনের কথা চিন্তা করে পার্ক কর্তৃপক্ষ ৫০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে বিভিন্ন রাইডারে চড়ে যাতে সবাই আনন্দ উপভোগ করতে পারেন তার জন্য ব্যবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ। একাধিক দর্শনার্থী জানান, নিজেদের এলাকায় এমন একটি বিনোদন পার্ক থাকায় অনেক ভালো হয়েছে। ইচ্ছে হলেই ছেলে-মেয়ে ও পরিবার পরিজন নিয়ে এখানে এসে ঘুরা যায়। পরিবেশ ও নিরাপত্তাও খুব ভালো। সড়কের পাশে হওয়ায় যাতায়াতেও সমস্যা নেই। নোয়াখালী গ্রীণ পার্কের ম্যানেজার আজমল হোসেন জানান, সবাই শিক্ষা ও বিনোদনের জন্য শহরমুখী। গ্রামীন পর্যায়ে এগুলোর ব্যবস্থা নাই। এ বিষয়টি মাথায় রেখে শিল্পপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক প্রত্যন্ত গ্রামে সাধারন মানুষের বিনোদনের জন্য এই পার্কটি নির্মাণ করেন। বিনোদনের পাশাপশি এখানে দুরের দর্শনার্থীদের জন্য আবাসিকে থাকার ও খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এবার ঈদের মানুষের বিনোদন জোগাতে পার্কটি অন্যতম ভূমিকা রাখছে।