আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যুদ্ধবিরতির চুক্তির অংশ হিসেবে এখন মৃত জিম্মিদের মরদেহ ফেরত দিচ্ছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। গত শনিবার যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর সোমবার ২০ জীবিত জিম্মি এবং চার মৃত জিম্মির মরদেহ ইসরায়েলে পাঠায় হামাস। এরপর গতকাল রাতে আরও চারটি মরদেহ হস্তান্তর করে তারা।
তবে এরমধ্যে একটি মরদেহ ইসরায়েলির নয় বলে জানা গেছে। হামাস নতুন করে চারটি মরদেহ পাঠানোর পরই সেগুলো আবু কবির ফরেনসিক ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তিনটি মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়। বাকি একটি মরদেহ জিম্মিদের কারও নয়।
পরিচয় শনাক্ত হওয়া অপর তিনটি মরদেহ স্টাফ সার্জেন্ট তামির নিমরোদি, ওরিয়াল বারুচ এবং ইতান লেভির। এরমধ্যে ওরিয়াল বারুচ এবং ইতান লেভির ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় নিহত হয়েছিলেন। তাদের মরদেহ গাজায় নিয়ে গিয়েছিল হামাসের যোদ্ধারা। অপরদিকে তামির নিমরোদি নামে এই সেনাকে জীবিত অবস্থায় বন্দি করা হয়েছিল। কিন্তু নিজ সেনাবাহিনীর হামলায় প্রাণ যায় তার। এরপর তার মরদেহ সংরক্ষণ করে লুকিয়ে রেখেছিলেন হামাস যোদ্ধারা।
এদিকে আরও তিনজনের মরদেহ হস্তান্তরের মাধ্যমে মোট ৭ মৃত জিম্মির মরদেহ ফেরত দিলো হামাস। তাদের কাছে এখনো ২১ জনের মরদেহ রয়ে গেছে।
তবে এই ২১ জনের সবার মরদেহ পাওয়া যাবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষ করে ৭ থেকে ৯ জিম্মির মরদেহের অস্তিত্ব আর কখনো নাও পাওয়া যেতে পারে। কারণ হামাসের যেসব যোদ্ধা বা কমান্ডার তাদের সমাহিত করেছিলেন তাদের অনেকে ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন।
