ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর উদ্ধার অভিযান
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এবং শিন বেট নিরাপত্তা সংস্থার যৌথ অভিযানে ইটাই স্বিরস্কি নামে এক ইসরায়েলি পণবন্দীর মরদেহ গাজা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ইটাই স্বিরস্কি ছিলেন ৩৮ বছর বয়সী একজন নাগরিক, যাকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার সময় কিব্বুতজ বেয়েরি থেকে অপহরণ করা হয়েছিল।
ইসরায়েলি সামরিক বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে ইটাই স্বিরস্কি কে বন্দিত্ব অবস্থায় হত্যা করা হয়েছে। তবে হামাস জানিয়েছিল, ইটাই স্বিরস্কি এবং আরেক পণবন্দী ইয়োসি শরাবি ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন।
অন্যান্য পণবন্দীদের মৃত্যুর ঘটনা
এর আগে আগস্ট মাসে গাজার একটি টানেল থেকে ছয় পণবন্দীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে ছিলেন ইয়াগেভ বুখস্টাব, আলেকজান্ডার ড্যানজিগ, আব্রাহাম মান্ডার, ইয়োরাম মেটজগার, চাইম পেরি এবং ব্রিটিশ-ইসরায়েলি দ্বৈত নাগরিক নাদাভ পপলওয়েল। ইসরায়েলি সামরিক তদন্তে দেখা গেছে যে হামাস এই পণবন্দীদের গুলি করে হত্যা করেছে।
তদন্ত অনুসারে, এই পণবন্দীদের মৃত্যুর সময় টানেলের কাছে একটি ইসরায়েলি বিমান হামলা হয়েছিল। তবে পণবন্দীদের মৃত্যুর সঠিক সময় বা কারণ নির্ধারণ করা যায়নি।
পণবন্দী মুক্তির চুক্তি
বর্তমানে হামাসের হাতে ৯৬ জন পণবন্দী রয়েছে, যার মধ্যে ৩৪ জনকে মৃত হিসেবে ধরে নেওয়া হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, কাতার এবং মিশর দীর্ঘদিন ধরে একটি চুক্তি করতে কাজ করছে যাতে পণবন্দীদের মুক্তির বিনিময়ে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা যায়।
ইটাই স্বিরস্কি‘র মরদেহ উদ্ধার পণবন্দী পরিবারের জন্য কিছুটা সান্ত্বনা নিয়ে এসেছে। পরিবারের ফোরাম জানিয়েছে, এই ঘটনা পণবন্দীদের বিপদ আরও স্পষ্ট করেছে।
হামাস ও গাজার পরিস্থিতি
গাজায় ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে ৪৪,৫০০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছে, যা গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
সম্প্রতি আল-মাওয়াসি এলাকায় একটি ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২০ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে পাঁচ শিশু ছিল। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে যে তারা এই এলাকায় “সিনিয়র হামাস সন্ত্রাসীদের” লক্ষ্যবস্তু করেছে।
উপসংহার
ইটাই স্বিরস্কি’র মৃত্যুর ঘটনাটি ইসরায়েলি এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা পাঠিয়েছে। এটি ইসরায়েলের পণবন্দী মুক্তির প্রচেষ্টাকে ত্বরান্বিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
You May Like to Read: সিরিয়ায় আসাদ সরকার উৎখাত বিদ্রোহীদের পরিচয় এবং তাদের অগ্রগতি
আন্তর্জাতিক-সংবাদ: আরও খবর
Read our ePaper : https://epaper.dailynabochatona.com/
Social Share: