হাবিবুর রহমান, গাইবান্ধা
গাইবান্ধার ৮ জন শ্রমিক কাজ করতেন ঢাকার ধামরাই উপজেলার কালামপুরের মেসার্স এসবি ব্রিকসে। কাজের আগে ভাটার সর্দার শ্রমিকদের অগ্রীম কিছু টাকাও দেয়। এর কারনে নন- জুডিশিয়াল সাদা ষ্ট্যাম্পে প্রত্যোকের কাছ নেওয়া হয় স্বাক্ষর। চুক্তি অনুযায়ী কাজ শেষ হলেও সাক্ষর নেওয়া সাদা ষ্ট্যাম্পগুলে ফেরত দেয়নি সু-চতুর ভাটার সর্দার আলমাছ মিয়া। বারবার শ্রমিকরা নন-জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্প ফেরত চাইলেও তা ফেরত না দিয়ে হঠাৎ শ্রমিকের বাড়ীতে পাঠিয়ে দেন উকিল নোটিশ। এরই প্রতিবাদে ২৯ সেপ্টেম্বর গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুরের বারাইকান্দি গ্রামে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য পেশ করেন, ইটভাটা শ্রমিক মোছা. আরজিনা বেগম। এসময় তিনি তার বক্তব্যে বলেন, কাজ শুরুর আগে আমরা কিছু অগ্রীম টাকা নেই ভাটা সর্দারের কাছে থেকে, বিনিময়ে তিনি আমাদের কাছ থেকে সাদা ষ্ট্যাম্পে সাক্ষর নেয়। চুক্তি মোতাবেক কাজ করার পরেও তিনি আমাদেরকে ষ্ট্যাম্পগুলো ফেরত দেয়নি। আমরা তাকে ষ্ট্যাম্পগুলো ফেরত দেওয়াড জন্য বারবার অনুরোধ করি। তিনি সেগুলো দিবেন দিবেন বলে কালক্ষেপণ করে। এখন তিনি আমাদের মতো অসহায় শ্রমিকদের হয়রানি করার জন্য মিথ্যা মামলা করার ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। আমাদের ষ্ট্যাম্পগুলো ফেরত দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের নামে ভাটার সর্দার নতুন গল্প কাহিনী সাজিয়ে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছে। তাই আমাদের ষ্ট্যাম্পগুলো ফেরতসহ মিথ্যা হয়রানী থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, মো. মনছুর মিয়া, মো. গোলাপ মিয়া। আরো উপস্থিত ছিলেন ভাটা শ্রমিক মো. আবির মিয়া প্রমুখ।
