ডেস্ক নিউজ
বাংলাদেশের বাজারে এখন পাওয়া যাচ্ছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি ডিটারজেন্ট ব্র্যান্ড ‘অরিক্স’। আন্তর্জাতিক মান সম্মত এই ব্র্যান্ড শুরুতেই ক্রেতা আকর্ষণে সক্ষম হয়েছে। বিশেষত: গৃহীনিদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে আছে ‘অরিক্স’।
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় রিমার্কের অত্যাধুনিক কমপ্লায়েন্স ফ্যাক্টরিতে উৎপাদিত হচ্ছে অরিক্সের ডিটারজেন্ট। বাংলাদেশের অন্যতম পরিবেশ, শ্রম ও কর্ম পরিবেশ বান্ধব একটি মডেল ফ্যাক্টরি হিসেবে এরই মধ্যে স্বীকৃতি পেয়েছে। কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা এবং শ্রমিকদের জন্য একটি নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার পুরস্কার হিসেবে শিল্প খাতের অন্যতম সম্মাননা ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড-২০২৫’ লাভ করেছে।
রিমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল আম্বিয়া বলেন, রিমার্ক শুরু থেকেই পরিবেশ ও শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং কর্মপরিবেশ নিয়ে বেশ সচেতন ভাবেই কাজ করছে। ইউরোপীয় প্রযুক্তির অত্যাধুনিক ভার্টিক্যাল ক্লোজ লুপ প্লান্ট স্থাপন করেছে। এই প্লান্টের প্রতিটি মেশিন স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডাস্ট কালেক্টরসহ ক্ষতিকর কেমিক্যাল অটোমেশনের মাধ্যমে শ্রমিকের হাতের স্পর্শ ছাড়াই ব্যবহৃত হচ্ছে। তাছাড়া পিপিইসহ সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিগত সুরক্ষা নিয়ম কঠোরভাবে মেনে চলার কারণে শ্রমিকরা প্রায় শতভাগ ঝুঁকিমুক্ত পরিবেশে কাজ করে থাকেন। তারই স্বীকৃতি হিসেবে দেশের প্রথম কসমেটিকস, স্কিন কেয়ার ও হোমকেয়ার পণ্য উৎপাদন প্রতিষ্ঠান হিসেবে চলতি বছর গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি। যা আমাদের কর্মস্পৃহাকে আরও দ্বিগুণ করেছে।
প্রচলিত ম্যানুয়াল পদ্ধতির ডিটারজেন্ট কারখানার বর্জ্য পদার্থ পরিবেশে মিশে পানি ও মাটি দূষিত করে। কারখানার আশেপাশে থাকা জলাশয় ও মাটির দূষণ জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ডিটারজেন্ট তৈরিতে দাহ্য পদার্থ ব্যবহার করা হয়, যা থেকে আগুন লাগার বা বিস্ফোরণের ঝুঁকি থাকে। শুধু তাই নয় ডিটারজেন্ট কারখানায় ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি থেকে উচ্চ শব্দ উৎপন্ন হয়, যা শ্রমিকদের শ্রবণশক্তি হ্রাস করতে পারে। অরিক্সের এই ফ্যাক্টরি এসব সমস্যা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা এবং স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির।
এর বাইরে অরিক্স তার শ্রমিকদের জন্য কারখানা শ্রমিকদের নিরাপত্তা সরঞ্জাম সরবরাহ করা, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা, এবং ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহারে শারীরিক স্পর্শ সীমিত করেছে। একইসঙ্গে কারখানার বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় রয়েছে আরও উন্নত প্রযুক্তি। যা অরিক্সের প্ল্যান্টকে করেছে পরিবেশ সহনীয়। কর্মীদের যথাযথ প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমেও রেখেছে সর্বোচ্চ সতর্কতা।
