ePaper

আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জমি দখল

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে একটি বিরোধপূর্ণ জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা এবং বাধা দেওয়ায় জমির মালিককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী এনামুল হক সরকার ফিরোজ ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। গত শনিবার বিকালে উপজেলার কামদিয়া ইউনিয়নের চালিতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চালিতা গ্রামের বাসিন্দা এনামুল হক ফিরোজ তফসিলভুক্ত জমিটি দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল ও চাষাবাদ করে আসছেন। কিন্তু জমিটির বি আর এস রেকর্ডে ভুলবশত অভিযুক্ত আব্দুল বারী  সরকার ও আব্দুর রশিদ সরকারের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে অভিযুক্তরা জমিটি দখলের পাঁয়তারা শুরু করলে এনামুল হক ২০২০ সালে গোবিন্দগঞ্জ সহকারী জজ আদালতে একটি রেকর্ড সংশোধন মামলা (মামলা নং ৭০/২০২০) দায়ের করেন। উক্ত মামলার ভিত্তিতে আদালত ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর অভিযুক্তদের ওই জমিতে প্রবেশে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। নিষেধাজ্ঞা জারি থাকার সত্বেও রোপনকৃত আমন জমিতে ভাড়াটিয়ে লোকজন দিয়ে চারা উপড়াইয়া ফেলে ফসলি জমির ক্ষতি সাধন করে। ভুক্তভোগীর অভিযোগ, আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও গত ২৯ জুলাই খোকন সরকারের নেতৃত্বে অভিযুক্তরা লাঠি, সোটা, কোদাল ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে দলবদ্ধভাবে জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে এবং জোরপূর্বক চাষ করার চেষ্টা চালায়। এ সময় এনামুল হক ও তার লোকজন বাধা দিতে গেলে অভিযুক্তরা তাদের ওপর হামলা চালায় ও মারধর করে। উল্লেখ্য উক্ত চাঁদা বাজরা অত্র এলাকায়  সরকারি পুকুর দখল, জোড়পৃর্বক অন্যর পুকুর থেকে মাছ চুড়ি করা এবং মাদক ব্যবসা সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। থানায় দায়ের করা অভিযোগে প্রধান অভিযুক্তরা হলেন,  একই  গ্রামের মৃত আব্দুল বারী সরকারের ছেলে খোকন সরকার (৩২) ও লেমন সরকার (২৩), রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদ সরকারের ছেলে হারুন সরকার (৫৪) ও সাবু সরকার (৫২), মৃত বুরুজ মিয়ার ছেলে লাবলু মিয়া (২৪) ও শিপন মিয়া (২২) এবং তেঘঘরা গ্রামের মৃত আব্দুল কাফির ছেলে খাইরুল ইসলাম রেজা। এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম জানান, আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *