আখাউড়া নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয় এর এসএসসি পরীক্ষা বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক দিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

শেখ নাদিম ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষায় বিষয় ভিত্তিক শিক্ষক দিয়ে পরীক্ষার কক্ষে দায়িত্ব পালন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনুসন্ধানী সংবাদ প্রতিনিধিদের হাতে সেই অভিযোগের ব্যাপক প্রমানাদি রয়েছে। অনুসন্ধানী মিডিয়াকর্মীরা ৪ মে ২০২৫  তারিখ রবিবার দুপুরে উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গেলে সকল অভিযোগের সত্যতা মিলে। জানা যায়, এসএসসি পরীক্ষার ২০২৫ এর পরীক্ষার হলে দায়িত্ব পালন করছেন বিষয় ভিত্তিক শিক্ষকগণ, যার প্রমাণস্বরূপ শিক্ষকগণের স্বাক্ষরিত রেজিস্ট্রি খাতা(ভেনু-খ) এসএসসি ইংরেজি পরীক্ষার দিন ইংরেজি শিক্ষক মোখলেছুর রহমান ১০২ নং পরীক্ষার কক্ষে ১০ মে ২০২৫  শিখা বনিক বাংলা বিষয়,ও কাজী সাফিয়া খাতুন বাংলা বিষয়ে দায়িত্ব পালনের অভিযোগ রয়েছে। এভাবেই এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রের কার্যক্রম পরিচালনা করেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক দেবব্রত বণিক।এ বিষয়ে নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবব্রত বণিকের সাথে সাক্ষাতে জানতে চাইলে, তিনি পুরো বিষয়গুলো এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন, এবং বলেন ঐ দিন শিক্ষক সংকট ছিল তাই এমন কাজ করেছি। পরীক্ষা তো হয়ে গেছে এগুলো নিয়ে আপনারা আর কিছু কইরেন না। তিনি তখন বলেন আমাদের সাথে জনৈক বেশ কিছু সাংবাদিকদেরও ভালো সম্পর্ক রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেন নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবব্রত বনিক প্রায়ই এই ধরনের অনিয়ম করে থাকেন। তার বিরুদ্ধে আরো একাধিক অভিযোগ রয়েছে, টাকার বিনিময় টেস্টে ফেল করা শিক্ষার্থীদেরকেও উত্তীর্ণ করিয়ে থাকেন। সেই কোচিং বাণিজ্যেরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। কোচিংয়ের সময় ছাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করেন বলেও প্রমাণ মিলেছে। আরো জানা যায়, গত ২০১৮ সালে দেবব্রত বনিক নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির দায়ে এক বছর  চাকরিচ্যুত ছিলেন। পরে তৎকালীন আখাউড়া পৌর মেয়র তাকজীল খলিফা কাজলের তত্ত্বাবধানে ১৫০ টাকার স্ট্যাম্পে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে দুর্নীতির দায়ী স্বীকার করে মুচলেকা দিয়ে পুনরায় যোগদান করেন। বর্তমানে স্ট্যাম্পের শর্ত ভঙ্গ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বজনপ্রীতি ও বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। যা স্বনামধন্য এই প্রতিষ্ঠানের সুনাম চরমভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে। বর্তমানে সে কোন অদৃশ্য ক্ষমতা বলে এই অনিয়ম দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন তা নিয়ে অভিভাবক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে রয়েছে  কৌতুহল। চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর টাকা আত্মসাৎ ও রুটিন সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে প্রধান শিক্ষক দেবব্রত বণিকের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জি এম রাসেদুল ইসলাম বলেন, তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *