ePaper

অনেক নাটকীয়তার পর মায়ামিতে বার্সেলোনার ম্যাচ বাতিল

স্পোর্টস ডেস্ক

সাধারণত স্পেনের মাটিতেই তাদের সর্বোচ্চ ঘরোয়া প্রতিযোগিতা লা লিগার ম্যাচ আয়োজন করা হয়। তবে অংশীদার প্রতিষ্ঠানের চাওয়া এবং বিদেশের মাটিতে সমর্থকদের চাহিদার পূরণে চলতি মৌসুমে বার্সেলোনার একটি ম্যাচ যুক্তরাষ্ট্রে হওয়ার কথা ছিল। স্পেনের বাইরে সেই ম্যাচ আয়োজন নিয়ে শুরু থেকেই বিরোধীতা করে আসছিল রিয়াল মাদ্রিদ। উয়েফার অনুমোদন পাওয়ার স্বয়ং বার্সা ফুটবলারও সমালোচনায় মাতে। একের পর এক নাটকীয়তার পর সেই ম্যাচ বাতিল করা হয়েছে।

আগামী ২০ ডিসেম্বর লা লিগার সপ্তদশ রাউন্ডের ম্যাচে মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা-ভিয়ারিয়াল। যা মায়ামির হার্ডরক স্টেডিয়ামে আয়োজনের পরিকল্পনা করছিল লা লিগা ও স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন (আরএফইএফ)। যা নিয়ে সংস্থা দুটি দীর্ঘদিন ধরেই উয়েফার অনুমোদনের অপেক্ষা ছিল। পরবর্তীতে অক্টোবরের শুরুতে অনিচ্ছা সত্ত্বেও বিশেষ পরিস্থিতিতে অনুমোদনের সিদ্ধান্ত জানায় উয়েফা। একইসঙ্গে বিবৃতিতে বলা হয়, এসব ক্ষেত্রে পর্যালোচনাধীন থাকা ফিফার কাঠামো পর্যাপ্ত স্পষ্ট নয় এবং সেখানে বিশদ বিবরণ নেই। এ ছাড়া নীতিগতভাবে নিজ দেশের বাইরে ঘরোয়া লিগের ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনার বিরোধিতা করে ইউরোপীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা উয়েফা। এদিকে, স্পেনজুড়ে বিভিন্ন ক্লাব ও সমর্থকদের একটি অংশ দেশের বাইরে লা লিগার ম্যাচ আয়োজন নিয়ে সমালোচনা করে আসছিল। এমন পরিস্থিতির পরই গতকাল লা লিগা বিবৃতিতে জানায়, বাইরে ম্যাচ আয়োজন নিয়ে স্পেনে তৈরি হওয়া প্রতিক্রিয়ার কারণে আগের সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে উত্তর আমেরিকার বাজারে লা লিগার সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘রেলেভেন্ট’।

লা লিগা, উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ বেশ ব্যস্ত সূচিতে কাটাতে হয় ক্লাবগুলোকে। এরই মাঝে মায়ামিতে ভিয়ারিয়াল বিপক্ষে লড়তে কেবল একটি ম্যাচের জন্য ৭ হাজার ২০০ কিলোমিটার (৪,৫০০ মাইল) দূরে ভ্রমণ করতে হতো বার্সার খেলোয়াড়দের। যা নিয়ে ক্লাবটির ফুটবলার এবং স্বয়ং কোচ হ্যান্সি ফ্লিকও খুশি ছিলেন না। যা নিয়ে আপত্তি লুকাননি তিনি। অবশেষে মায়ামি থেকে বাতিল করা হলো ম্যাচটি। এজন্য অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রে ক্লাবটির সমর্থকদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছে বার্সেলোনা কর্তৃপক্ষ। লা লিগার সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও, স্পেনের বাইরে পরিচিতি বৃদ্ধি ও আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় তারা আক্ষেপ জানায়। লা লিগা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘গভীর দুঃখের সঙ্গে জানানো যাচ্ছে, এই প্রকল্প স্প্যানিশ ফুটবলের আন্তর্জাতিকীকরণের ঐতিহাসিক সুযোগ হতে পারত, কিন্তু সেটি আর সম্ভব হচ্ছে না। দেশের বাইরে একটি আনুষ্ঠানিক ম্যাচ আয়োজন করা আমাদের প্রতিযোগিতাকে বিশ্বজুড়ে প্রসারের পথে একটি বড় পদক্ষেপ হতো। এতে ক্লাবগুলোর আন্তর্জাতিক অবস্থান, খেলোয়াড়দের পরিচিতি এবং স্প্যানিশ ফুটবলের ব্র্যান্ড শক্তিশালী হতো, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের মতো কৌশলগত বাজারে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *